নিজের উইকেটের মূল্য বোౠঝেন না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। তাই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবিবেচকের মতো শট খেলে আউট হতে দেখা যায় বহু ব্যাটসম্যানকেই। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম সেই দলের নন মোটেও। তিনি নিজের উইকেটের গুরুত্ব বোঝেন। বিশেষ করে মীরপুরে নিউজিল্যান্🃏ডের বিরুদ্ধে সিরিজের মরণ-বাঁন ম্যাচে দল যখন বেকায়দায়, তখন ব্যাট হাতে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। যদিও বাংলাদেশকে তেমন একটা নির্ভরতা দিতে পারেননি তিনি।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট ༺করতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসলে ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান𒀰্তকে নিয়ে বিপর্যয় রোধের চেষ্টা করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ৫৩ রানের পার্টনারশিপও গড়েন মুশফিক। তবে ১৬তম ওভারে লকি ফার্গুসনের প্রথম ডেলিভারিটি যথাযথভাবে সামলাতে না পারায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
ফার্গুসনের বল মুশফিকুরের ব্যাটে লাগার পরে পিচে ড্রপ করে স্টাম্প ভেঙে দেয়। মাঝে বল হাওয়ার ভেসে থাকার সময় ফুটবলারদের মতো ব্যাকহিলে তা স্টাম্প থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। যদিও সফল হননি ত🐷িনি। শেষমেশ বল তো স্টাম্পে লাগেই, এমনকি মুশফিকুরের পাও লেগে যায় স্টাম্পে। ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ১৮ রান করে বোল্ড হন রহিম।
ম্য়াচে বাংলাদেশ শুরু থেকে নিয়মিত অন্তর༺ে উইকেট হারাতে থাকে। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া লড়াই চালাতে পারেননি আর কেউই। অধিনায়কোচিত অর্ধশতরান করে নাজমুল আউট হওয়ার পরেই ধসে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তারা ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
শান্ত ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৪ বলে ৭৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদুল্লাহ ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ꦦ২৭ বলে ২১ রান করেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১৮ রান করে🌠ন তৌহিদ হৃদয়। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১৩ রানের যোগদান রাখেন মেহেদি হাসান। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬.৩ ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন অ্য𒀰াডাম মিলনে। এছাড়া ১৮ রানে ২ট𒀰ি উইকেট নেন কোল ম্যাককঞ্চি। ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসন ও রাচিন রবীন্দ্র।