♌ আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত ভারতের। প্রথম থেকেই বিসিসিআই এবং ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেটীয় সম্পর্ক স্থাপনের কোনও প্রশ্নই নেই পাকিস্তানের সঙ্গে। তাই সেদেশেও ম্যাচ খেলতে পাঠানো হবে না বিরাটদের। যদিও এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সেদেশের বোর্ড সভাপতি মোহসিন নকভি আশাপ্রকাশ করেছিলেন সেদেশে খেলতে যাবে ভারত।
🦂ভারতীয় বোর্ড সূত্রে খবর, দুদিন আগেই দাবি করা হয়েছিল বিসিসিআইকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে সেদেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার জন্য। যদি নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যাই থাকে, তাহলে প্রত্যেক ম্যাচের পর ভারতীয় দল দিল্লিতেও ফিরতে পারবে চাইলে, এমনই প্রস্তাবে গুঞ্জন রটেছিল।
🌞আরও পড়ুন-‘নিচ মানসিকতার বদলাও…’! বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান সমর্থকদের নিশানা আমিরের…
ভারতকে চটাতে চাইবে না আইসিসির সদস্যরা-
🧸অবশ্য ভারতী বোর্ড সূত্রে খবর, পিসিবির তরফ থেকে এমন কোনও বার্তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এসে পৌঁছায়নি। শুধু তাই নয়, এমন বার্তা এলেও যে বিসিসিআই টিম ইন্ডিয়াকে পাকিস্তানে ম্যাচ খেলতে পাঠাবে না আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বোর্ডের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র। প্রসঙ্গত, ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে না যায় তাহলে সেদেশ থেকে টিম ইন্ডিয়া ম্যাচ যে সড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ এই মূহূর্তের বিশ্বের সব থেকে ধনি এবং শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ডের নাম বিসিসিআই। তাই তাঁদের চটাতে চাইবে না আইসিসির কোনও সদস্যই।
🌜আরও পড়ুন-অবসর জল্পনা উস্কে দিলেন KL রাহুল! হারের পর মাঠকে করলেন প্রণাম! এটাই শেষ টেস্ট ছিল?
পিসিবর কোনও বার্তা আসেনি বিসিসিআইয়েক কাছে-
🌠বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ‘এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের তরফ থেকে সরকারিভাবে এমন কোনও বার্তাই ভারতীয় বোর্ডের কাছে এসে পৌঁছায়নি, যেখানে ভারতীয় দলকে প্রতি ম্যাচের পর দিল্লি বা চন্ডিগড়ে ফেরার কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলের বিদেশ সফর নিয়ে সব সিদ্ধান্তই নিচ্ছে বিদেশমন্ত্রক, ফলে ভারত সরকারই এই নিয়ে শেষ কথা বলবে, এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের কোনও হাত নেই ’।
🧜আরও পড়ুন-‘অত বড় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, ওকে একটু সাবধানে’! পন্তকে নিয়ে চিন্তায় ‘দাদা’ রোহিত…
লাহোরেই ফাইনাল চায় পাকিস্তান বোর্ড-
𝔍এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এক সূত্র জানিয়েছে, তাঁরা পাকিস্তানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ আয়োজন করতে ইচ্ছুক। কিন্তু ভারত যদি একান্তই ম্যাচ খেলতে সেদেশে না যায়, তাহলে ভারতের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের দাবি থাকবে, ভারত যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও ওঠে, তাহলেও যেন লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে ফাইনাল ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া না হয়। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হিসেবে যাতে ফাইনাল সেদেশেই হয়।
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর সম্পর্ক ছিন্ন-
🤪২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় প্রাণ গেছিল প্রায় ২০০ জনের। এরপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেদেশের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার পথ বেছে নিয়েছে ভারত। সেই থেকে আর ভারতীয় দল পাকিস্তানে যায়নি কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। একমাত্র আইসিসি প্রতিযোগিতাতেই দুই দেশ মুখোমুখি হয়। এবার সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।