১১ বছর পর ভিনু মানকড় ট্রফির নকআউটে পৌঁছেছিল বাংলা। এবার সেখান থেকে আরও এগিয়ে পৌঁছে গেল ফাইনালে। শুরু থেকেই প্রতিযোগিতায় লাগাতার ভালো পারফরম্যান্স করে আসছিল বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দল। গ্রুপ পর্বে শুধু মহারাষ্ট্রের কাছে হেরেছিল বাংলা। তবে সেই হারের বদলা নিয়ে𒈔 নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ৯৬ রানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় সৌরাশিসরা। বৃহস্পতিবার রাজকোটে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল বাংলা। প্রতিপক্ষ ছিল ছত্তিশগড়। এদিনও একই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে তারা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক। 🧸;
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১৯০ রান। ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন বিশাল ভাট্টি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় (৯২)। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। এছাড়াও ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন অগ্নিশ্বর দাস। ৫০ ওভার শেষে বাংলা ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তোলে। এরপর বল হাতেও মাঠে দাপট দেখাতে থাকে বাংলা। ম্যাচের কোনও অংশেই সেই ভাবে লড়াই দিতে পারেনি ছত্তিশগড়। ৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট চলে যায় তাদের। তখনই বোঝা যাচ্ছিল ম্🌃যাচ বাংলার পকেটে। পুরো 𝓡৫০ ওভারও ব্যাট করার সুযোগ পায়নি ছত্তিশগড়। ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন বিশাল ভাট্টি। ৮.২ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়াও ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আশুতোষ কুমার। স্বাভাবিকভাবে এই ম্যাচ জয়ের পর আত্মবিশ্বাস আরও অনেকটা বেড়েছে বাংলার দলের। এখন তাদের লক্ষ্য ফাইনাল জয়। তার আগে তাই কোনও উৎসব করতে নারাজ কোচ সৌরাশিস। তিনি বলেন, ‘এখানে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সব কৃতিত্ব ক্রিকেটারদের। ওরা প্রথম ম্যাচ থেকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে এসেছে। কোচের কাজ হল ক্রিকেটারদের ঠিকঠাকভাবে দিক নির্দেশ করা এবং একটা প্রসেস ফলো করা। আমিও সেটাই করে গিয়েছি। ফাইনালে উঠেছি বলে কোনও সেলিব্রেশন করতে রাজি নই। টিমকে বলে দিয়েছি সব আনন্দ হবে ফাইনাল জেতার পর। তার আগে এখন শুধুই ফোকাস করতে হবে ফাইনাল ম্যাচটায়। একটুও ফোকাসও নড়তে দিলে চলবে না।’ উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর গুজরাটের বিরুদ্ধে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলা।