অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের আগে পরবর্তীﷺ প্রজন্মের কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করলেন ভারতের অভিজ্ঞ কোচ। উদীয়মান তরুণ খেলোয়াড় যশস্বী জয়সওয়ালের কোচ জ্বলা সিং বিশ্বাস করেন যে তার ছাত্র আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘পরবর্তী কিংবদন্তি’ হয়ে উঠতে পারেন।
যশস্বী জয়সওয়াল ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকা। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। সেই মুহূর্ত থেকে জয়সওয়াল শক্তিশালী পারফর্ম করে চলেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করছেন। সমস্ত ফর্ম্যা♑টের জন্য নিজেকে একজন খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যশস্বী। এবার জয়সওয়ালের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন জ্বলা সিং। এবং তিনি মনে করেন যশস্বীဣর মধ্যে পরবর্তী গ্রেট হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সঙ্গে কথা বলার সময়ে জ্বলা সিং বলেছেন, ‘আমি মনে করি চার বা পাঁচ বছরে, হ্যাঁ, সে ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী গ্রেট হয়ে উঠতে পারে। আমি মনে করি লক্ষ্য শুধু ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা নয়, লক্ষ্য হল পরবর্তী গ্রেট হওয়া।’ মুম্বই ক্রিকেট কোচ জ্বলা আজাদ ময়দানে অনেক বাচ্চাদের ব্যাট করতে দেখেছেন, কিন্তু যশস্বী জয়সওয়ালের মধ্যেই ভﷺারতীয় ক্রিকেটে পরবর্তী খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন তিনি।
এক দশক আগে, যখন জ্বালা অ্যাকাডেমির নিয়মিত খেলা দেখা শেষ করে, তখন তার চোখ পড়ে দুই ছেলের নেটে ব্যাটিং করার দিকে। ডান-হাতি খেলোয়াড় অসম পৃ💛ষ্ঠ সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন, যখন বাম-হাতি খেলোয়াড় কোনও সমস্যা ছাড়াই সেই পিচের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন। এই মুহূর্তটি ছিল যখন জ্বলা বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি ছেলেটির মধ্যে বিশেষ কিছু দেখেছেন। সে যুবকটির কাছে যায় এবং তাকে জিজ্ঞেস করল সে কে? সিং বলেন, ‘আমার বন্ধু বলতে শুরু করে যে এই ছেলেটির কোন বাড়ি নেই, খাওয়ার কিছু নেই এবং তার বয়স মাত্র ১২ বছর, এবং সে বলেছিল যে আমি ভয় পাচ্ছি সে ভুল হাতে পড়ে এবং তার জীবন হারাতে পারে।’
এরপরে জ্বলা সিং বলেন, ‘ত🌺ারপর ছোট ছেলেটি নেট থেকে বেরিয়ে আসে, এবং সে তার হেলমেট খুলে ফেলে। এবং তাই আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার নাম কি?’ তিনি বললেন, ‘আমার নাম যশস্বী জয়সওয়াল।’ তাই জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কোথায় থাকো?’ এবং, ‘আপনি কোথা থেকে এসেছেন?’ সে বলেছিল, ‘আমি উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছি, আমি একটি তাঁবুতে থাকি এবং আমি এখানে ক্রিকেটের জন্য একা থাকি।’
কাকতালীয়ভাবে, জ্বলার সাথে দেখা হওয়ার দুই বছর আগে জয়সওয়াল তার বাবা ভূপেন্দ্রের সঙ্গে তার শহর সুরিয়াওয়ান থেকে মুম্বই এসেছিলেন। পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র শহর পরিদর্শন𒆙 করার ছিল, কিন্তু জয়সওয়াল মুম্বইতে থাকার এবং ক্রিকেটে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রথমে তার কাকার সঙ্গে থাকতেন, কিন্তু তার আত্মীয়ের বাড়িতে জায়গার অভাবে তিনি মাঠের গ্রাউন্ডসম্যানের তাঁবুতে থাকতেন।
এই সময়ে জ্বলা বলেন যশস্বী যখন তাঁকে নিজের কথা বলছিলেন তখন কোচ সবটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন জ্বলা বলেছিলেন যে একদিন ভারতকে সে একজন ক্রিকেটার উপহার দেবেন। সেই সময়ে যশস্বীকে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি আমার অ্যাকাডেমিতে আসুন এবং আমি তোমার সঙ্গে নেটে কিছুটা সময় ﷺকাꦜটাব। যদি বুঝি যে তোমার মধ্যে কিছু রয়েছে তখন নিশ্চিত ভাবে তোমার সাহায্য করব।’ আসলে তখন থেকেই যশস্বীর মধ্যে একটা লড়াকু মেজাজকে দেখে নিয়েছিলেন জ্বলা সিং। সেই কারণেই তিনি বিশ্বাস করেন যে কয়েক বছরের মধ্যেই নিজেকে কিংবদন্তি করে তুলবেন যশস্বী জয়সওয়াল।