বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই। ক্রিকেটে বরাবরই এমন কীর্তি শাকিবরা করে বসেন যার জন্য তাঁরা আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন। এক সময় হাবিবুল বাশার, মহম্মদ আশরাফুলদের সময় তাও বাংলাদেশ দলকে সকলে লড়াইয়ের জন্য জানত। বড় বড় দলকে টেক্কা দিতেন। এক সময় জায়ান্ট কিলার তকমাও পেয়ে গেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তারা বারবার শিরোনামে উঠেছেন নাগিন ড্যান্স, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে টাইম আউট করার মতো ঘটনায়। কোথায় ক্রিকেটখেলিয়ে দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার কথা,সেখানে সম্পর্ক খারাপ করে রেখেছেন। যেমন ক্রিকেটার, সমর্থকরাও অনেক সময় তেꦅমন কাজ করে বসেন। কয়েক বছর আগে তাসকিন আহমেদের হাতে বিরাট কোহলির মাথা বসিয়ে নেটমাধ্যমে রসিকতা করেছিলেন তারা। এরপর ব্যাটেই তাদের উত্তর দিয়েছিলেন কোহলি। এবার আরও এক বিতর্কিত কাজ করে দেখালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কদিন পরই তাঁদের অনেকের গায়ে উঠবে বাংলাদেশের জাতীয় দলের সবুজ জার্সি। অথচ নিজেদের দেশের আম্পায়ারকেই অপমানিত করে বিতর্ক তৈরি করলেন সেদেশের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন-IPL 2024- পঞ্🐈জাবের বিপক্ষে অসহায় আত্মসম🌠র্পণ, তবু কেন আম্পায়ারের ওপর চটলেন গৌতম গম্ভীর? ভিডিয়ো
বাংলাদেশের ঢাকা প্রিমিয়র লিগ সেদেশে বেশ জনপ্রীয়। সেই লিগেই ম্যাচ ছিল প্রাইম ব্যাঙ্কের সঙ্গে মহমেডান স্পোর্টিং দলের। সেই ম্যাচের আগেই দুই 🔥দলের ক্রিকেটাররা বিতর্কে জড়ালেন, কারণ তাঁরা ম্যাচে মহিলা আম্পায়ার থাকায় খেলতে অনিচ্ছুক ছিলেন। শুনতে একটু অবাক লাগলেও, যে দেশ🎐ের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা। দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের উন্নতির জন্য মরিয়া চেষ্টা করে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অথচ তাঁর দেশের ক্রিকেটাররাই একজন মহিলা আম্পায়ারকে এভাবে অপমান করলেন। যদিও আয়োজকরা দুই দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের আপত্তি সত্বেও তাতে কর্ণপাত না করে ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর একান্ত নিমরাজি হয়েই ম্যাচ খেলে দুই দলের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন-বয়স বাড়ছে, তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত, বিরাট-রোহিতদের বার্তা যুবরাজ🦹ের
আম্পায়ার সাথিরা জাকির 💖জেসি সেই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করেন। তিনি আইসিসির ডেভেলপমেন্টাল প্য𝄹ানেলেও রয়েছেন। দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি অন ফিল্ড আম্পারিং করে নজির তৈরি করলেন ঢাকা প্রিমিয়র লিগের পুরুষদের এই ম্যাচে।
আরও পড়ুন-IPL ꦐ2024-🌠এবার বেটিংয়েও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সহজেই জুয়াড়িরা বুঝে নিচ্ছেন ম্যাচের ভবিষ্যৎ
এই ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ নিয়ে পরে বিতর্ক দেখা যায়। তাঁর মারা শট বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনি ক্যাচ নেন। যদিও সেই সময় ফিল্ডারের পা বাউন্ডারি লাইনে লেগেছিল কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু ম্য়াচের কোনও সম্প্রচার না থাকায় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার পর মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর। বিসিবিജর তরফে জানানো হয়, ক্রিকেটাররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল, কিন্তু বোর্ড মহিলাদের সম্মানে🔥র কথা ভেবে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাই সিদ্ধান্ত বদল করেননি।