সম্প্রতি ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ জয় করেছে ভারত। ফাইনালে সাউথ আফ্রিকাকে পরাজিত করে কাপ নিজেদের দখলে করেন রোহিতরা। সেইদিন টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি সাউথ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। শেষ মুহূর্তে বাউন্ডারি লাইনে সূর্য কুমার যাদবের ক্যাচ ধরার স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে। মিলার বলেন, ‘আমরা সেদিন জয়ের অনেক কাছে ছিলাম, দল হিসাবে টুর্নামেন্টে আমরা দুর্দান্ত লড়াই করেছি। তবে সবসময় খেলায় আপনার সঙ্গে সঠিকটা হয় না, এখানে সবসময় একজন জয়ী হবে এবং অপরজন পরাজিত হবেই। আমরা এর আগে অনেক খেলায় খারাপ পরিণতি দেখেছি, আমার মনে হয় টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পরꦉাজয় তাদের মধ্যে একটা’।
ডেভিড মিলার কে প্রশ্ন করা হয় আপনাকে যদি ফাইনাল ম্যাচের সেই বলটা আবার খেলতে হয় তাহলে আপনি কী করবেন? তিনি জানান, ‘আমি আলাদা শট খেলার চেষ্টা করব না, তবে চেষ্টা করব ব্যাটে -বলে যাতে আরও একটু ভালো সম্পর্ক তৈরি করা যায়। আসলে আমি সেদিন ওরকম একটা ফুলটস বলের আশা করিনি। আমার মাথায় সব সময় ফুলটস বল সম্পর্কে ধারণা থাকে, তবে সেবার সামান্য ভুল করে ফেলি। খুবই ছোট ভুল ছিল, খুব হতাশ হয়েছিলাম। আসলে আমার মনে হয় আমি সবটাই করেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল ওটা ছয় হবে। আ🧔পনি যখন শট মারেন তখনই বুঝে যান বলটা কতদূর যেতে পারে। আমার মনে হয় আমি পুরো জোর লাগিয়েছিলাম…হ্যাঁ, কিন্তু এখন সবটাই ইতিহাস’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এরকম পরিস্থিতির থেকে আপনি কিভাবে বেড়িয়ে আসবেন এবং তা থেকে কী শিক্ষা নেবেন সেটা বেশি জরুরি। অনেক সময় এমন হয় আপনার এর থেকে আলাদা কিছু করার থাকে না। আমি এটুকুই বলব সেদিন ভারত ভালো ক্রিকেট খেলেছ⛄িল বা হয়তো আমরা কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছি। আমি খুব সহজ ভাবে ভাবতে চাই। আমি এই বিষয়ে আর বেশি ভাবি না, আশা করি ভবিষ্যতে আবার এরকম একটা সুযোগ পাব’।
টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে সাউথ আফ্রিকার ইনিংসের ১৮ তম ওভারের শেষ বলে ৮ নং ব্যাটার কেশব মহারাজ সিঙ্গল নেন এবং ডেভিড মিলারকে স্ট্রাইক না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। এবিষয়ে ডেভিড বলেন, ‘আমি কেশব মহারাজের সঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছি। আমার বয়স যখন ১১ তখন থেকে আমরা একসঙ্গে খেলছি। তিনি ভালো ব্যাটিং করতে পারেন। তখনও ২০ রান বাকি ছিল আমাদের জেতার জন্য, তাই আমার মনে হয়েছিল কেশব পারবে। তিনি ব্যাটিং করতে জানেন এবং বড় শট খেলতেও 𝐆পারেন’। তিনি জানান, ‘আমার প্রথমে খুব রাগ হয়েছিল আউট হওয়ার পর। হতাশ হয়েছিলাম নিজের উপর। আমরা জয়ের অনেক কাছে ছিলাম, আমার মনে হয়েছে আমি আমার দেশকে, দলকে এবং নিজেকেও ছোট করেছি’।