প্রায় তিন দশক ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের চার নম্বর ব্য়াটিং পজিশনটা সেরা ব্য়াটারের জন্যই রাখা থাকে। দীর্ঘ তিন দশক ধরে ভারতীয় দলের শুধুই চার নম্বর পজিশনটি দুটি নির্দিষ্ট ব্যাটারের জন্য বরাদ্দ থাকত, তাঁরা হলেন বিরাট কোহলি এবং সচিন তেন্ডুলকর। এর আগে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, দিলীপ বেঙ্গসরকাররা এই পজিশনে খেলতেন বটে, কিন্তু তাঁরা কেউই এতদিন ধরে এই পজিশনে খেলেননি। ২০১৩ সালে সচিন তেন্ডুলকর অবসর নেওয়ার পর বিরাট কোহলি এই পজিশনে ব্যাটিং করা শুরু করেন। সচিন তেন্ডুলকর ১৫৯২১ রান করার পর বিরাট কোহলিও প্রায় একই পজিশন ধরে রেখে ৯২৩০ রান করেছেন। কিন্তু এরপর কে আসবেন ওই পজিশনে? ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজ থেকেই এই পজিশনে করুণ নায়ারকে চাইছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং কোচ অনিল কুম্বলে।
করুণ নায়ার কোনওভাবেই তেন্ডুলকর বা কোহলির টেস্ট পারফরমেন্সের আশেপাশে আসেননা। তাঁর হাতে খুব বেশি সময়ও নেই নিজেকে খুব বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কারণ তাঁর বয়স এখন ৩৩। তবে লাল বলের ক্রিকেটে নায়ারের অভিজ্ঞতা এবং কাউন্টি ক্রিকেটে খেলায় ইংল্যান্ডের চেনা পরিবেশও তাঁকে সুবিধা দেবে বলেই মনে করছেন অনিল কুম্বলে।
অনিল কুম্বলে বলেন, ‘আমার মনে হয় না, কেউ চার নম্বরে কে ব্যাটিং করবে সেই নিয়ে ভেবেছে। লোকেশ রাহুল টপ অর্ডারে ভালো খেলার পর রোহিতকে পিছনের দিকে পাঠানো হয়েছিল, এরপর নিজেকেই সরিয়ে নিয়েছিল। ফলে ভারতের ব্যাক আপ ওপেনার কে সেটা আমরা জানি, কিন্তু চার নম্বর পজিশনে কে খেলবে, সেটা কিন্তু আমরা জানি না ’।
কুম্বলে আরও বলছেন, ‘করুণের ভারতীয় দলে ঢোকাটা উচিত ওর ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্সের দিক থেকে। আমার মনে হয়, ওকে চার নম্বরে ব্যাটিং করাতে হবে, কারণ ওই পজিশনে অভিজ্ঞতা লাগে। এমন একজনকে দরকার যে ইংল্যান্ডে খেলেছে, এখানকার পরিস্থিতি জানে। ওর বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে, এটা ঠিক। কিন্তু ওর মধ্যে এখনও তারুণ্য রয়েছে। ও যদি সুযোগ পায়, তাহলে যে প্রতিভানরা বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে, তাঁরাও একটু মনে জোর পাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ভালো পারফরমেন্স যদি দাম না পায়, তাহলে সেটা একদমই ভালো জিনিস নয়। সাই সুদর্শনও রয়েছে। বিভিন্ন ফরম্যাটের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেটা মনে রাখতে হবে সবাইকে। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললে তাঁদের সুযোগও দেওয়া উচিত ’।
করুণ নায়ার নিজেও কদিন আগে বলেছিলেন, যে তিনি টেস্টে কামব্যাকের কাছাকাছি চলে এসেছেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭৭৯ রান তিনি সম্প্রতি করেছেন, সেখানে পাঁচটি শতরান রয়েছে তাঁর। লাল বলে গতবছরে ৮৬০ রান করেছেন, পাশাপাশি রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ১৩৫ এবং ৮৫ রানের ইনিংস খেলে বিদর্ভকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন।