অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল আইপিএলের প্রাক্তন ক্রিকেটার পল ভলথাটির দিদি💙 ও ভাগ্নের। সোমবার সকালে মুম্বইয়ের বোরিভেলির (ওয়েস্ট) আবাসনে আগুন লাগে। সেই ঘটনায় ভলথাটির দিদি ও ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই আবাসনেই ছিলেন ভলথাটি। যিনি একটা সময় পঞ্জাব কিংসের (পূর্বতন কিংস ইলেভন পঞ্জাব) হয়ে খেলতেন। আবাসনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার কাজেও সাহায্য করেন বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে বোরিভেলির (ওয়েস্ট) সাইবাবা নগরের কাছে (পবনধাম মন্দিরের কাছে) অবস্থিত ওই আবাসনের 'এফ উইং'-য়ে প্রথম তলের রান্নাঘরে (🎀ফ্ল্যাট নম্বর ১২১) আগুন লাগে। যা ক্রমশ আবাসনের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আবাসনের একাংশ। প্রায় লম্বালম্বিভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম তল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও ওই তলের আবাসিকদের বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চতুর্থ তলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হয়।
সেই অগ্নিকাণ্ডে ভলথাটির দিদি গ্লোরিﷺ রবার্টস (৪৩ বছর) ও ভাগ্নে জোশুয়ার (আট বছর) মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা ওই আবাসানের ৪২০ নম্বর এবং ৪২১ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন। আবাসনের সচিব নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন, 💫আহত অবস্থায় ভলথাটির দিদি এবং ভাগ্নেকে উদ্ধার করে শতাব্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। যে হাসপাতালে অন্যান্য আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। এক মহিলার শরীরের প্রায় ১০০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: PAK vs AFG: বাবরদের হারিয়েই ‘বোমা’ ফেললেন আফগা🌊ন তারকা! কড়া আক্রমণ করলেন পাকিস্তান সরকারকে
আবাসনের সচিব জানিয়েছেন, যখন আগুℱন লেগেছিল, তখন আবাসনেই ছিলেন প্রাক্তন আইপিএল ক্রিকেটার ভলথাটি। উদ্ধারকাজেও সাহায্য করেন। আগুন লেগে যাওয়ায় সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন ভলথাটি। তারপর ভলথাটি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেন বলে জানিয়েছেন আবাসনের সচিব। তবে সেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে🍸 ভলথাটির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন খেললেও আইপিএলের মঞ্চ থেকে পরিচিতি পান ভলথাটি। ২০১১ সালের আইপিএলে কিংস ইলেভন পঞ্জাবের (বর্ಌতমান পঞ্জাব কিংস) হয়ে অসাধারণ শতরান করেছিলেন। তারপরই লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন। যিনি নব্বইয়ের দশকে মুম্বইয়ে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন। ২০০২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলেও ছিল𝓰েন। যে দলে ছিলেন ইরফান পাঠান, পার্থিব প্যাটেলের মতো তারকাররা।
কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোখে চোট পাওয়ার পর তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের উপর প্রশ্নꦿচিহ্ন পড়ে গিয়েছিল। মুম্বইয়ের সিনিয়র দলেও ঢুকতে পারছিলেন না। ২০০৬ সালে একটি মাত্র ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে তাঁকে দলে নিয়েছিল রꩵাজস্থান রয়্যালস। ২০১১ সালে তাঁকে নিয়েছিল পঞ্জাব। সেই বছর আইপিএলে শতরান করেছিলেন।