কলকাতা নাইট রাইডার্স দল গতবারের কোর টিমকে কার্যত ধরে রেখেছে। সাফল্য পেতে গেলে কোর টিম একটা ধরে রাখা খুব জরুরি। অবশ্য সুনীল নারিন-আন্দ্রে রাসেলরা দীর্ঘ এক দশক ধরেই শাহরুখ খানের দলের ভরসা। এবারে গতবারের দলের ১১জন ক্রিকেটারকে মো💝ট দলে রাখতে পেরেছে নাইট রাইডার্স শিবির। যদিও একটা খোঁচা কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের লাগছে।
আরও পড়ুন -তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ⭕ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন…
ভারতীয় ক্রিকেꦍটার বেঙ্কটেশ ꧃আইয়ারকে পেতে নাইট রাইডার্সকে খরচ করতে দেখা যায় ২৩ কোটির বেশি টাকা। অথচ বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ, আকাশদীপ, মুকেশ কুমার, মহম্মদ শামিদের কথা কেন চোখে পড়ে না নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্টের? এরা বাংলা দলের হয়ে খেললেও এরাও তো জাতীয় দলেরই ক্রিকেটার। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট একটা টাকার গণ্ডির ওপরে আর যায়না কেকেআর, অথচ মধ্যপ্রদেশের বেঙ্কির জন্য ২৩ কোটির খরচ করতে তাঁরা প্রস্তুত।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি অবশ্য ঘরের ছেলেদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে টপকে গেছে। কর্ণাটকের মোট ৮জন ক্রিকেটারকে তাঁরা আইপিএল ২০২৫-এর জন্য দলে নিয়েছে। ফ্যান বেস বাড়ানোর জন্যই হোক বা লোকার ক্রিকেটের উন্নতি, এই সিদ্ধান্ত আখেরে সেই রাজ্যের জন্যই ভালো𒅌।
এরপরই তালিকায় রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাঁরা দিল্লির মোট ৬জন ক্রিকেটারকে দলে সই করিয়েছে। অর্থাৎ নিজেদের হোম স্টেটের প্লেয়ার নেওয়ার ক্ষেত্রে♚ তাঁরা অনেকের থেকে এগিয়ে।
আরও পড়♎ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন♏ মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল রয়েছে ভূমিপুত্র দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃত🅺ীয় স্থানে। তাঁরা দলে নিয়েছে মোট ৫জন মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটারকে। এর মধ্যে রোহিত নিজেই মুম্বইকর অর্থাৎ নাগপুরের। সূর্যকুমার যাদব নিজেই মুম্বইয়ের রঞ্জি দলের অধিনায়ক।
এরপরই ভূমিপুত্র নেওয়ার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তাঁরা তামিলনাড়ুর চারজন ক্রিকেটারকে এবারের আইপিএলের দলে রেখেছে। &n𝓀bsp;তাঁরা গুরজꦓন্ত সিং, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বিজয় শঙ্করদের দলে নিয়েছে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল। তাঁরা নিজেদের হায়দরাবাদ রাজ্য সংস্থার হয়ে খেলা ৩জন ক্রিকেটারকে নিজেদের দলে রেখেছে। এক্ষেত্রে তাঁদের অবস্থান পঞ্চম স্থানে ভূমিপুত্র দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে। ফলে একটা কথা বলাই যায়, অনেক দল যেমন আইপিএলে 𝕴সাফল্যের পাশাপাশি নিজের রাজ্যের ক্রিকেটার তুলে আনার দিকেও নজর দিচ্ছে, সেখানে অনেক রাজ্যই কেবল ব্যবসায়িক স্বার্থেই আইপিএলকে দেখছে, এটাই বাস্তব𓂃।
অবশ্য পঞ্জাব কিংস দ𓃲লে বরাবরই সেরাজ্যের ক্রিকেটারদের অধিক্য দেখা যায়। এবারেও প্রভসিমরন সিং, শশাঙ্ক সিংদের তাঁরা দলে রিটেন করেছে। তবে শশাঙ্ক উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা, খেলেন ছত্তিশগড়ের হয়ে। তবে আর্শদীপ সিংকে পঞ্জাব আরটিএমের দ্বারা দলে ফিরিয়েছে। উত্তর প্রদেশের মিরাঠের ছেলে হরপ্রীত ব্রারকেও নিয়েছে পঞ্জাব কিংস, তিনি পঞ্জাবের হয়েই রঞ্জি খেলেন।