পিচিং- ইন লাইন, ইমপ্যাক্ট- আম্পায়ার্স কল, উইকেট- মিসিং। জায়ান্ট স্ক্রিনে এমন ছবি দেখে স্বস্তিতে ছিলেন ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার দাসেন। তবে চমকের বাকি ছিল তখনও। কেননা ঠিক পরক্ষণেই জায়ান্ট স্ক্রিনের ছবিটা বদলে যায়। পিচিং- ইন লাইন ও ইমপ্যাক্ট- আম্পায়ার্স কল আগের মতোই বজায় থাকে। এক্ষেত্রে উইকেট- মিস♏িং এর জায়গায় হয়ে যায় উইকেট- আম্পায়ার্স কꦜল। যেহেতু আম্পায়ার দাসেনকে আউট দিয়েছিলেন, তাই সাজঘরে ফিরতে হয় প্রোটিয়া তারকাকে।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে বিতর্কিতভাবে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৮.৫ ওভারে উসামা মীরের বলে দা♈সেনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন জানায় পাকিস্তান। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটার। প্রাথমিকভাবে বল ট্র্যাকারে দেখা যায় যে, বল স্টাম্পে লাগছি𝓡ল না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে দাসেন আউট নন।
তবে ঠিক পরক্ষণেই বল ট্র্যাকারে ছবিটা বদলে যায়। পুনরায় বল ট্র্যাকিংয়ের যে ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়, তাতে দেখা যায় যে, বল স্টাম্প ছুঁয়ে যাচ্ছিল। অর্থাৎ আম্🃏পায়ার্স কলে আউট দাসেন। একই রিভিউয়ে কীভাবে দাসেনকে একবার নট-আউট ও একবার আউট দেখানো হলো, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দু'রকম ডিআরএসের স্ক্রিনশট মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয় এই নিয়ে। ডিআরএসের যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। চাপের মুখে বিতর্কে ধামা চাপা দিতে আসরে নামে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে সাফাই দেওয়া হয় যে, রাসি ভ্যান ডার দাসেনের এলবিডব্লিউ-র ক্ষেত্রে প্রাথমিকভা༒বে অসম্পূর্ণ গ্রাফিক্স দেখানো হয়েছিল। পরে সম্পূর্ণ গ্রাফিক্স তুলে ধরা হয়। যদিও আইসিসির তরফে এটাও জানানো হয় যে, শেষমেশ সঠিক সিদ্ধান্তই জানানো হয়েছে দাসেনের এলবিডব্লিউ-র ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় সম্প্রচারের ভুলকেই।
হরভজ💟ন সিং অবশ্য বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন। তাবরেজ শামসির আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভাজ্জির দাবি, এক্🧔ষেত্রে দাসেন আউট ছিলেন না। আম্পায়ারের ভুলকে আড়াল করতেই নাকি বলির পাঁঠা করা হয়েছে দাসেনকে।
হরভজন টুইটারে দাসেনের ডিআরএসে নট-আউটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার মতে ও (দাসেন) আউট ছিল না। তবে যেহেতু আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, তাই প্রযুক্তিকেও আউট দেখাতে হয়েছে। নাহলে খারাপ সিদ্ধান্ত দেওয়ার জ🔯ন্য আম্পায়ারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতো। ওরা আম্পায়ারকে বাঁচিয়ে দেয় একজন প্লেয়ারকে নয়, যে কিনা দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহজে ম্যাচ জেতাতে পারত।’