মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বি🌳শ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত। এই নিয়ে টানা পাঁচ বার। বেনোনির উইলমোর পার্কে ২ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ꦬব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ভারত।
একটা সময়ে ভারতের ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সচিন ধাস এবং উদয় সাহরনের ব্যাটে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। বিশেষ করে সচিনই প্রথমে সেই সময়ে দায়িত্ব নিয়♒ে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে রুখে দাঁড়ান। বড় শট খেলে, তাঁদের পিটিয়ে পাল্টা চাপে ফেলে দ🌄েন। সেখানে উদয় ক্রিজে আঁকড়ে সঙ্গত করতে থাকেন সচিনকে।
আরও পড়ুন: IND U19 vs SA U19, WC 2024: সচিন-উদয়ের দুরন্ত লড়াই, প্রোটিয়াদের হার🐻িয়ে ফাইনালে ভারত
সচিন-উদয়ের লড়াকু ইনিংসে মুগ্ধ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ম্যাচের পর টুই করে বলেন, ‘৩২ রানে ৪ উইকেট থেকে কী দুরন্ত জয়.. তরুণ ছেলেদের দুর💯্দান্ত পারফরম্যান্স.. এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও কিছু ভাল প্রতিভা রয়েছে।’
মঙ্গলবার আরও এক সচিনের উত্থান দেখল বিশ্ব। একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে। ৯৫ বলে ৯৬ করে আউট হন তিনি। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। অধিনায়ক উদয় সা🌼হরনের সঙ্গে জুটি বেঁধে পঞ্চম উইকেটে ১৭১ রান যোগ করেন সচিন। এই পার্টনারশিপ ভারতকে খাদের কিনারা থেকে ফেরায়। জয়ের রানে পৌঁছনোর আগেই 𒊎অবশ্য ফিরে যান দুই সেট ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত রাজ লিম্বানির ব্যাটে উইনিং রান আসে। ১২৪ বলে ৮১ করে আউট হন উদয়।
আরও পড়ুন: দক্ষতার সঙ্গে ব্যাজবল খেলছে ইংল্যান💫্ড- স্টোকসদের খেলার পদ্ধতিতে মুগ্ধ দ্রাবিড়
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল ভারত। নতুন বলে সুইং এবং গতিতে প্রোটিয়া ব্যাটারদের সমস্যার মুখে ফেলে দেন রাজ লিম্বানি। প্রথম স্পেলেই জোড়া উইকেট তুলে নেন। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুয়ান্দ্রো প্রিটোরিয়াস (৭৬) এবং রিচার্ড সেলেস্টোনের (৬৪) ব্যাটে ভর করে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছ🅰য় প্রোটিয়ারা। কিন্তু এই রান যথেষ্ট ছিল না। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা আদর্শ হয়নি ভারতের। প্রথম বলেই উইকেট হারায় ভারত। এর পর ত্রিস্তান লুইসের বলে বেকায়দায় পড়ে যায় ভারত। প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদয়-সচিনের ব্যাটে ভর করে ম্যাচে ফেরে ভারত। আট উইকেট হারিয়ে সাত বল বাকি থাকতে হয়ে পৌঁছে যায় ২৪৮ রানে।