কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ২০২৪ আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হতাশ করেছেন। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শূন্যতে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন। তবে স♉ানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিং, হর্ষিত রানার দুরন্ত স্পেলের হাত ধরে 🌜কেকেআর শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। আর এই জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
শনিবার ইডেন গার্ডেনে শেষ ওভারের টানটান থ্রিলারে জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। শেষ ওভারে হায়দরাবাদের ম্যাচ জিততে ৬ বলে ১৩ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল ৫ উইকেট। এই রান করাটা মোটেও কঠিন বিষয় ছিল না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্ষেত্রে। হর্ষিত রানাকে বল তুলে দেন শ্রেয়স। প্রথম বলেই ক্লাসেন লম্বা ছক্কা হাঁকান হর্ষিতকে। রান কমে দাঁড়ায় ৫ বলে ৭। কিন্তু এর পরেইౠ ঘোরে ম্যাচের রং। পরের বলে ১ রান দেন হর্ষিত। তৃতীয় বলে শাহবাজ আহমেদকে আউট করেন তিনি। তার পরের বলে হয় ফের ১ রান। হায়দরাবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ বলে ৫ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে হর্ষিত হেনরিখ ক্লাসেনকে আউট করেন। ২৯ বলে ৬৩ করে ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দেওয়া ক্লাসেন আউট হতেই স্বস্তি পায় কেকেআর। শেষ বলে আর কোনও রান হয়নি। ৪ রানে জয় পায় নাইটরা।
আরও পড়ুন: রাচিন আউট হতেই উদ্ধত ভাবে আঙুলের ইশারায় বেরিয়ে যেতে বলেন কোহলি🥂, সঙ্গে করেন গা🌼লিগালাজ- ভিডিয়ো
স্বাভাবিক ভাবেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রেয়স জানান, শেষ ওভারে হর্ষিত বল করতে আসার আগে কতটা নার্ভাস ছিলেন। আর তিনি কী ভাবে ত⭕রুণ বোলারের মনে সাহস এনে দিয়েছিলেন। শ্রেয়সের দাবি, ‘১৭তম ওভার থেকেই চাপ তৈরি হচ্ছিল। সত্যি কথা বলতে কী, শেষ ওভারে যে কোনও কিছ༒ু ঘটতে পারত। ওদের ১৩ রান দরকার ছিল এবং আমাদের কাছে অভিজ্ঞ কোনও বোলারের বিকল্প ছিল না। কিন্তু হর্ষিতের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল, এবং আমি ওকে নিজের উপর ভরসা রাখতে বলেছিলাম। হর্ষিত রানা যখন শেষ ওভার বল করতে এসেছিল, ও একটু নার্ভাস ছিল। আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, এটা তোমার মোমেন্ট হতে পারে। সঙ্গে এও বলেছিলাম, ম্যাচের ফল যাই হোক, কিছু যায় আসে না। যাতে ও একটু শান্ত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কারও জুতোয় পা গলাতে চাই না- ধোনির ছায়া থেকে বের হতে চাಞন রুতুরাজ
এদিন শুধু হর্ষিতের বোলিং নয়, আন্দ্রে রাসেলের ঝোড়ো ব্যাটিও কেকেআর-এর জয়ের আরও একটি বড় কারণ। রাসেলের ২৫ বলে বিধ্বংসী ৬৪ রানের হাত ধরে নাইট রাইডার্স ২০০ রানের গণ্ডি টপকায়। ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে তারা। স্কোরবোর্ডে এই রান না উঠলে, জেতা সম্ভ♌ব ছিল না কেকেআর-এর। শুধু তাই নয়, বল হাতে ২ উইকেটও নিয়েছেন রাসেল। শ্রেয়স আইয়ার তাই বলেছেন যে, ‘আজ ও যে ভাবে বল ও ব্যাট হাতে অসাধারণ কাজ করেছে, তা দলকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আপনি যখন জয় দিয়ে শুরু করেন, এটি আপনাকে সব সময়ে অনুপ্রাণিত করে। এই ম্যাচটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এই মাঠ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখব।’ তবে ফিল্ডিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন শ্রেয়স। তাঁর মতে, ‘আমি মনে করি ফিল্ডিং এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’