রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) আইপিএলের অন্🐼যতম জনপ্রিয় দল হিসেবে বিবেচিত। তবে আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে আরসিবি-র জয় অধরা। এই দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে এই টুর্নামেন্টের প্রথম বছর ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯ বছর বয়সী কোহলি এই দলের অংশ হয়েছিলেন। কিন্তু আরসিবি-কে ট্রফি জেতাতে পারেনি। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর দলটি ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেও ট্রফি অধরাই থেকে গিয়েছে।
২০২১ সালের পর কোহলি আরসিবি-র নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে ২০২২ সালে দলের অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু তিনিও ট্রফি দিতে পারেননি আরসিবি-কে। ২০২৩ সালের হতাশাজনক মরশুমের পরে আরসিবি জোশ হেজেলউড, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা এবং হর্ষাল প্যাটেলকে ছেড়ে দিয়েছে। ২০২৪ সালের জন্য আইপিএল নিলাম থেকে তারা ২০.৪০ কোটি টাকা খরচ করে ছয় জন খেলোয়♔াড়কে কিনে নিয়েছিল। তবে এর পরেও কিছু দুর্বলতা যেম🦄ন থেকে গিয়েছে আরসিবি-র, তেমনই তারা আর এক দিক থেকে শক্তিশালী দলও।
শক্তি কী?
আরসিবি দলের ব্যাটিং লাইন আপ বেশ শক্তিশালী। বহু বড় নাম রয়েছে ব্যাটারদের তালিকায়। বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু'প্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রয়েছেন দলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের থেকে তারা এবার ক্যামেরন গ্রিনকেও ট্রেড করে নিয়েছেন। যে কারণে চ্যালেঞ্জার্স দলে একজন অভিজ্ঞ ফিনিশার পেয়ে গিয়েছে। তিন নম্বরে তাদের আছে রজিত পতিদার, যিনি শুরু থেকেই বোলারদের প্রভাব খাটাতে সিদ্ধহস্ত। সব মিলিয়ে ওপেনার থেকে আরসিবি-র মিডল অর্ডার একেবারে তারকাখচ🎃িত।
আরও পড়ুন: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং গভীরতা আকাশছোঁয়া, তবে কনওয়ে, পাথিরানার চোট বড় ধাক্কা CSK-এ𝕴র
আরসিবি-র অনস্বীকার্য শক্তিগুলির মধ্যে একটি হল 💛এর সুষম ভারসাম্যপূর্ণ টিম। অভিজ্ঞ এবং উদীয়মান তরুণ প্রতিভাদের মধ্যে একটি সুন্দর ভারসাম্য বজায় রেখেছে। এই বৈচিত্র্যময় মিশ্রণ শুধুমাত্র স্কোয়াডে গভীরতা যোগ করে না, বরং দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার একটি নিরবচ্ছিন্ন মিশ্রণ।
দুর্বলতা কী?
হেজেলউড, হর্ষাল এবং হাসরাঙ্গাকে বাদ দেওয়ার পর, আরসিবি ফাস্ট-বোলিং ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য নিলামে আলজারি জোসেফ, যশ দয়াল এবং লকি ফার্গুসনকে কিনে নিয়েছে ব্যাঙ্গালোর। তবে এই তিন পেসারকে শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ২০২৩ সালে, আলজারি জোসেফ এবং যশ দয়াল গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং ফার্গুসনও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মোটেও ভালো ছন্দে ছিলেন না।এই তিন বোলার আরসিবি-র ফাস্ট-বোলিং ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য এবং মহম্মদ সিরাজ ও রিস টপলিকে সমর্থন করার জন্য খুব বে♛শি কার্যকরী নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি ম্💝যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ IPL-এর সবচেয়ে দামি প্লেয়ার, রিঙ্কুর হাতে বেদম🧔 মার খেলেন স্টার্ক
স্পিন বিভাগে রয়েছেন কর্ণ শর্মা, ময়াঙ্ক ডাগর, হিমাংশু শর্মা এবং স্বপ্নিল সিং। কর্ণ শর্মা🐼 গত পাঁচ বছর ধরে আইপিএলে মোটেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। যেখানে ময়াঙ্ক ডাগর, স্বপ্নিল সিং এবং হিমাংশু শর্মার অভিজ্ঞতা অনেক কম।
আরসিবিতে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন দীনেশ কার্তিক এবং অনুজ রাওয়াত। দু'জনেই ২০২৩ মরশুমে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। তবে ♔আরসিবি-র টিম ম্যানেজমেন্ট আসন্ন প্রতিযোগিতার জন্য তাদের উপর আস্থা দেখিয়েছে। যদি এই দুই খেলোয়াড়ই আসন্ন মরসুমে রান না করতে পারে, তবে তা ব্যাঙ্গালোরের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করবে।
এক্স ফ্যাক্টর
যে দলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো ক্রিকেট🍰ার থাকে, তাদের আলাদা করে এক্স ফ্যাক্টরের প্রয়োজন পড়ে না। একা হাতে ম্যাচ ঘুর꧋িয়ে দিতে তিনি ওস্তাদ। এছাড়া তো বিরাট কোহলি রয়েছেনই। কোহলি থাকা মানেই দলের মনোবল এক লাফে একশো গুঁ বেড়ে যায়।