টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যেই প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আচমকা মৃত্যু হয়েছে তাঁর দীর্ঘদিনের হেয়ার স্টাইলিস্ট ফয়াজ আনসার🎉ির। সেই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ইরফান পাঠান। আর তারইমধ্যে ভারত বিশ্বকাপ জিতে যাওয়ায় কিছুটা যেন ভার লাঘব হল প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকারের। হর্ষ-বিষাদের দোলাচলের মধ্যেই পুরোপুরি আবেগে ভেসে গেলেন। ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল। সেইসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা আনন্দাশ্রু। লাভ ইউ টিম ইন্ডিয়া।’
প্রিয়জনকে হারিয়েছেন ইরফান
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ইরফানের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলেন আনসারি। ব💃িশ্বকাপের ধারাভাষ্যের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন ইরফান। সেইসময় সুইমিং পুলে ডুবে আনসারির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার। ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করে আনসারির শেষ শ্ꩲরদ্ধা জানান।
আবেগতাড়িত ইরফান
তারইমধ্যে বিশ্বকাপের ফাইনালে কমেন্ট্রি করেন ইরফান। আর ভারত জিতে যাওয়ার পরে বিশ্বকাপের সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসে বলেন, ‘ইন্ডিয়া টিম জানে না যে ওরা কী করেছে, ওরা আমায় কতটা আনন্দ দিয়েছে। কারণ আমি এখানে আসতাম না। আজ এখানে এলাম (শুধুমাত্র ভারতের বিশ্বকাপ জয় দেখার জন্য)। আমায় ওদের ইতিহাসের অংশ করে তুলেছে। আ🌞মি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ এটা চিরকাল থেকে যাবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজও ২০০৭ সালের (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাপ জয়ের) স্মৃতি আওড়ে যাই। ১৯৮৩ সালের (একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের) কথা মনে𒁃 করে যাই। আমি বুমরাহের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি রোহিত শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি হার্দিক পান্ডিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচটা তো জীবনে ভুলব না। যখন আমার জীবনের শেষ শ্বাস পড়বে, তখনও সূর্যকুমার যাদবের ওই ক্যাচটা মনে রাখব। ডেভিড মিলার যা মারকুটে ব্যাটার, তাতে প্রথম বলে ছক্কা হয়ে যেত, তাহলে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যেত।’
আনন্দাশ্রু এটা, বললেন ইরফান
নিজের হাতে তেরঙা ধরে ইরফান বলতে থাকেন, ‘ভারতীয় দল জানে না। আপনারা জানেন। শেষ ১০টা দিন আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। এখন যে চোখের জল বয়ে যাচ্ছে, সেটা কষ্টের নয়। এটা আনন্দাশ্রু🗹। লাভ ইউ টিম ইন্ডিয়া।’ পরবর্তীতে মহম্মদ কাইফের সঙ্গে একটি ভিডিয়োয় তাঁকে তেরঙায় চুমু খেতেও দেখা যায়।