ভারতে ক্রিকেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুরুষ ক্রিকেটের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মহিলা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা। ভারতে এখন পুরুষ আইপিএলের পাশাপাশি মহিলাদের নিয়েও শুরু হয়েছে টি২০ লিগ, যেই লিগেরও ভিউয়ারশিপ রেটিং যথেষ্ট ভালো। মহিলাদের ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক বাড়๊াতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছে বিসিসিআই এবং তাঁদের সম্প্রচারকারী সংস্থারা। ভারতীয় দলের বিভিন্ন ম্যাচের আগে বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, কে এগিয়ে-কে পিছিয়ে? সাম্প্রতিককালে মহিলা সঞ্চালকদের দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে সম্প্রচারকারী সংস্থারা, সেটা মায়ান্তি ল্যাঙ্গার হোক বা জার্নালিস্ট কাম হোস্ট হিসেবে সঞ্জনা গনেশন। এরই মধ্যেই ক্রিকেট সঞ্চালক হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরুর দিকে খারাপ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী মন্দিরা বেদী।
আরও পড়ুন-কোন ক্লাবের হয়ে অবসর নেবেন লিওনেল মেসি? জানিয়ে দিলেন তিনি, ❀মন খারাপ সমর্থকদের
দু-দশকেরও বেশি সময় আগে ভারতীয় টেলিভিশনের ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন শো-তে দেখা যেত মন্দিরা বেদীকে। সঞ্জয় মঞ্জরেকর, রবি শাস্ত্রীদের পাশাপাশি তিনিও নিজের সঞ্চালক দক্ষতা দিয়ে মন জেতার চেষ্টা করতেন। তবে সাধারণ মহিলা ক্রিকেট প্রেমীকে যদি তথ্যমূলক এবং সমস্ত ক্রিকেটীয় টেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তো সমস্যা হবেই। কারণ একা মন্দিরা বেদী বলে♒ নন, এখনও বহু মহিলা ক্রিকেটপ্রেমী খেলাটা ভালোবাসলেও, সমস্ত নিয়ম বা খুঁটিনাটি হয়ত জানেন না। মন্দিরা বেদীর ক্ষেত্রেও সঞ্চালনার সময় তেমনই হত, মনে যেই প্রশ্ন আসত ক্রিকেট নিয়ে করে ফেলতেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই প্রশ্ন পছন্দ হত না বিশেষজ্ঞ♌ হিসেবে প্যানেলে থাকা ক্রিকেটারদের, আর তাতেই নাকি তাঁরা বেজায় বিরক্ত হতেন।
আরও পড়ুন-এত তাড়াতাড়ি সব হচ্ছে,হজম হচ্ছে না! বিরাটের উইকেটের ꦅস্মৃতিচারণায়🐬 নেত্রভালকর
বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচের আগেই সম্প্রচারকারী সংস্থার তরফে অঞ্জুম চোপড়া, এশা গুপ্তা, মিতালি রাজরা বিশেষজ্ঞ হিসেবে আসলেও সঞ্চালক হিসেবে মন্দিরা বেদী সেই সময় ছিলেন বেশ জনপ্রীয়। তবে ক্যামেরার পিছনে মোটেই কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের প্রিয় পাত্রি ছিলেন না তিনি, জানালেন নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের সময়🎉 সঞ্চালনা করা প্রসঙ্গে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি যখন সঞ্চালনার কাজ🀅 শুরু করি, তখন পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না। কারণ কেউ তখন ভাবতেই পারত না যে মহিলারা প্যানেল প্রোগ্রাম বা ক্রিকেট নিয়ে সঞ্চালনা করতে পারে। অনেক সময়ই এমন কিছু প্রশ্ন করতাম , যেটা আমার মনে হত সঠিক। কিন্তু সেটা হয়ত বোকা বোকা হত তাঁদের কাছে, তখন চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হত আমায় ’ ।
আরও পড়ুন-স্কটল্যান্ডকে ম্যাচ ছাড়বে অজিরা? হেজেলউড𓄧ের মন্তব্যে বিতর্ক!মুখ খুললেন ইংরেজ কোচ
মন্দিরা বেদী আไরও বলছেন, ‘সেই সময় আমি কেঁদে ফেলতাম। তখন সতীর্থরা বলত কফি এনে দেবে। প্রথম এক সপ্তাহ আমায় কেউ কিছু বলেনি, যেটা আমার জন্য দুর্বিসহ লাগছিল। কারও কাছ থেকে কোনও সমর্থন না পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি হচ্ছিল, আরও বেশি স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। আমার সঙ্গেই আরেꦇকজন সঞ্চালক ছিল, তাঁর প্রশ্নের সবাই প্রশংসা করত ’।