শুভব্রত মুখার্জি: ইংরেজি বলতে পারা বা না পারা নিয়ে একটা ছুতমার্ক সমাজের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। নিজের মাতৃভাষার বদলে ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে পারাকে🐠 অনেকেই আবার তুলনা করে থাকেন স্মার্টনেসের সঙ্গেও। খেলাধুলার জগতও এর ব্যতিক্রম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যেহেতু খেলোয়াড় এব🙈ং সমর্থকদের দূরত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে ফলে এই ট্রোলিংয়ের ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্রিকেটার হাসান আলিকে বাজেভাবে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল কারণ তিনি সঠিকভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারার ফলে। এবার হাসান আলির ট্রোলারদের একহাত নিয়ে তাঁর সতীর্থ শাদাব খানের স্পষ্ট কথা মেসি ও ইংরেজি বলতে পারে না।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে শেষ এক দশকে ক্রিকেটারদের ছোট থেকে ছোট ভুল ক্রুটির ফলে তাদেরকে বারবার চরম কটাক্ষের, সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু পোস্ট করলেও ত🦂ার 🧸উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে এইসব ট্রোলারদের। পাক অলরাউন্ডার শাদাব খান সম্প্রতি একটি টুইট করেছিলেন। যে টুইটে তিনি তাঁর একটি ‘ফ্যাশনেবল’ ছবি পোস্ট করেন। দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘মডেলিং স্কিলস বেটার? লার্নিং ফ্রম মাই টিমমেটস।’ অর্থাৎ মডেলিং স্কিল থেকে কি আখের কোনও উন্নতি হয়েছে? আমি আমার সতীর্থদের থেকে শিখছি।
ওই পোস্টেই তাঁর সতীর্থ তথা পেসার হাসান আলি লেখেন, ‘তুমি হয়তো এইভাবেই রাস্তায় বেরতে পার। তোমাকে যা সুন্দর লাগছে তাতে করে তুমি তোমার ভালোবাসাকেও পেয়ে যেতে পার। ঈশ্বর তোমাকে সুরক্ষিত রাখবেন। দেখ আবার হারিয়ে যেও না।’ এই টুইটের জবাবেই এক ভক্ত কড়া ভাষায় হাসান আলিকে বলেন, ‘ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে বলছি, হাসান তুমি একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পিসিবি, রেহান উল হক, পিসিবি মিডিয়া দয়া করে এদেরকে শিক্ষিত কর। কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্যবহার করতে হয় তা দয়া করে শেখাও এদের।’ ওই ভক্তকে এরপর কড়া দাওয়াই দিয়ে শাদাব লেখেন, ‘মেসিও ঠিক করে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। তাতে কোন অসুবিধা নেই। বিদেশি ক্রীড়াবিদরা ভুল ইংরেজি বললেও কোন অসুবিধা নেই। আমরা স্বাভাবিকভাবেই থাকতে ভালোবাসি। কোন কিছু নকল করাটা ঠিক নয়। আমি আমার সংস্কৃতি নিয়ে লজ্জিত না। আল্লাহ সকলক🔴ে ভালো রাখবে।’