পাকিস্তানকে বরাবর আগুনে পেসারদের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দারুণ সব পেস বোলার উপহার দিয়েছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ সেই তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন।ꦜ তবে সেই ধারাটা যে থেমে থাকবে না, তার ইঙ্গিত মিলছে মহম্মদ জীশানের বোলিংয়েই।
বয়স মাত্র🅺 ১৭ বছর। ইতিমধ্যেই গতি ও নিয়ন্ত্রিত সুইংয়ে ক্রিকেট বিশ্বের নজরে পড়েছেন জীশান। তবে প♔াকিস্তানের উঠতি পেসার আলাদা করে স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছেন নিজের উচ্চতার জন্য। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি হাইটের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জীশানের সফল হওয়ার বিস্তর সম্ভাবনা দেখছে পাক ক্রিকেটমহল।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে অমূলক নয়, সেটা বোঝা গিয়েছে চলতি অনূর💮্ধ্ব এশিয়া কাপেই। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জীশান ৯.২ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। এবার ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে পাক পেসারের শিকার চারজন ব্যাটার। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টের🐠 ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ১০টি উইকেট তুলে নেন জীশান।
রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মহম্মদ জীশান ১০ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৪৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। দলের হয়ে সেরা বোলিং করেন তিনিই। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাক পেসা💧রদের যে রকম আগ্রাসন দেখতে অভ্যস্ত ক্রিকেটবিশ্ব, জীশানের শরীরি ভাষা ঠিক ততটাই আগ্রাসী। এক একটি উইকেট নেওয়ার পরে তাঁর সেলিব্রেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সেটা।
রবিবার দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন জীশান। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি আউট করেন রুদ্র প্যাটেলকে। জীশানের বলে উইকেটকিপার সাদ বেগের দস্তানায় ধরা পড়েন𒆙 ভারতীয় তারকা। রুদ্রকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেলিব্রেশনের সময় রীতিমতো রূদ্রমূর্তি ধরেন জীশান। ব্যাꦐটারের ঠিক সামনে গিয়ে যেভাবে হাত-পা ছুঁড়তে দেখা যায় পাক পেসারকে, তাতেই বোঝা যায় কতটা উদ্দীপ্ত ছিলেন তিনি।
জীশান পরে আউট করেন মুশির খান (২), সচিন ধাস (৫৮) ও রাজ লিম্বানিকে (৭)। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে। সচিন ছাড়াও হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার আদর্শ সিং (৬২) ও ক্যাপ্টেন উদয় সাহারান (৬০)। ২টি করে উইকেট নেন পাকিস্তানের আমির হ🎃াসান ও উবেদ শাহ।