একেই পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে ডামাডোল চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তার মাঝেই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাজনীত কারণে জাতীয় টুর্নামেন্টে কাটছাঁট করার ঘটনা প্রবল চাপে ফেলꦯল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। সোমবার করাচির টিম হোটেলে ভয়াবহ আগুন লাগায় অল্পেনর জন্য প্রাণে বাঁচেন ৫ জন মহিলা ক্রিকেটার, যা নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় পিসিবিকে।
ন্যাশনাল উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য করাচির যে হোটেলে ক্রিকেটারদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, সোমবার ভয়াবহ আগুন লাগে সেই টিম হোটেলে। দুর্ঘটনার সময় ৫ জন ক্রিকেটার ছ💝িলেন হোটেল। শেষমেশ জানালার কাচ ভেঙে কোনও রকমে উদ্ধার করা হয় ক্রিকেটারদের। অল্পের🅘 জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
টিম হোটেল থেকে ক্রিকেটারদের উদ্ধার করে ন্যাশনাল🐭 হাই পারফর্ম্যান্স সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ক্রিকেটারদের খেলার সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে 🍨বলে খবর।
এই অবস্থায় বিজ্ঞপ্তি জা🐭রি করে তড়িঘড়ি টুর্নামেন্ট কার্যত বাতিল বলে জানিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যদিও পুরোপুরি বাতিল নয়, বরং টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চারটি করে ম্যাচের পরে যে ২টি দল লিগ টেবিলের প্রথম দুইয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের ভাবনা রয়েছে পিসিবির। যদিও সেই ফাইনাল ম্যাচ কবে-কোথায় আয়োজিত হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
টুর্নামেন্ট কার্যত বাতিল করার কারণও জানানো হয়েছে পাক বোর্ডের তরফে। আসলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এই মুহূর্তে বিকল্প হোটেলের অভাব রয়েছে করাচিতে। কেননা ডিফেন্স এক্সিবিশনের জন্য করাচিতে হোটেল পাওয়াই দুষ্কর। তার উপর নির্দিষ্ট গু𒐪ণমানের অন্তত ১০০টি রুম দরকার টুর্নামেন্꧒ট আয়োজনের জন্য। তাই ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্যে কার্যত এখানেই দাঁড়ি টেনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্💦য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যে খসড়া সূচি তৈরি করেছে, তাতে করাচিতে টুর্নামেন্টের বেশ কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে। এমনকি একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা করাচিতে। আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিদেশি দলগুলির করাচিতে ম্যাচ খেলার কথা উল্লেখ রয়েছে খসড়া সূচিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশি দলগুলির ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করা স্বাভাবিক।