শেষ হয়েছে আইপিএল। এখন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় রোহিত শর্মা সহ একাধিক ক্রিকেটার আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপ খেলতে। আইপিএল জুড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে 'দ্বন্দ্বের' জেরে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রোহিতকে ঘিরে। এরই মাঝে আবার মাঝে মাঝে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন রোহিতের স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহ। রোহিতকে নিয়ে করা মার্ক বাউচারের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োতে কমেন্ট করে মুম্বইয়ের অধিনায়কত্বের বিতর্কে ঘি ঢেলেছিলেন তিনি। তবে এবার রোহিতরা বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আবহে নতুন করে বিতর্ক শুরু হল ঋতিকার একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করা নিয়ে। এই পোস্টটি অবশ্য ক্রিকেট সংক্রান্ত নয়। চলমান গাজা যুদ্ধে রাফার প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে সেই পোস্টটি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই পোস্টটি আবার ডিলিট করে দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: 'সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল', 💞ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে UN)
আরও পড়ুন: দড়ি টানাটানির লড়াইতে ভারতের সামনে মুখ থুবড়ে 💝পড়ল চিনা সেনা! ভাইরাল ভিডিয়ো
উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবর থেকেই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্🐽ধে লিপ্ত আছে। এরই মাঝে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে গাজায়। আর সম্প্রতি রাফায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জনের মতো সাধারণ মানুষ মারা যায়। এই আবহে রাফার সেই ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করে অনেকেই 'অল আইজ অন রাফা' বলে পোস্ট করছেন। ঋতিকাও সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। মুহূর্꧙তে তাঁর সেই রাফা সংক্রান্ত পোস্ট ভাইরাল হয়। এরপর ইনস্টাতে ট্রোল করা হয় ঋতিকাকে। অনেকেই বলেন, ভারতীয় ইস্যু নিয়ে না বলে প্যালেস্তাইন নিয়ে বেশি মাথা ব্যথা।
আরও পড়ুন: চিনা দখলদারি ইস্যুতে আত্মঘাতী গোল খেয়ে মোদীর 'ভু𓆏ল' নিয়ে পালটা ত☂োপ কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হামাস তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছিল। এরপরই রাফায় শরণার্থী তাঁবুতে হামলা চালায় ইজরায়েলি বিমান বাহিনী। এর জেরে বহু নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে ভারতের অনেক তারকাই মুখ খুলেছেন🍬। স্বরা ভাস্কর, সমন্থা রুথ প্রভুর মতো অভিনেতারা রাফার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে ঋতিকাও সেই পোস্ট করেছিলেন। তবে কিছুক্ষণে সেই পোস্ট তিনি ডিলিট করে দেন।
প্রসঙ্গত, গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল কয়েক হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের কাটাতার কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষ൲কে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে তাতে। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ নিরপরাধ প্যালেস্তিনীয়। যুদ্ধ শুরুর সময়ে গাজায় ২৩ লাখের বসবাস ছিল। তবে ক্রমেই কয়েক লাখ মানুষ গাজা ছেড়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল। তবে এই যুদ্ধে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।