কেএল রাহুল বনাম সঞ্জু স্যামসনের লড়াইয়ে এদিন শেষ হাসি হাসলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কই। রবিবার জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাহুলের ছিল প্রত্য়াবর্তনের লড়াই। আর সঞ্জুর ছিল নিজের যোগ্যতা প্রমাণের যুদ্ধ। এই দুই তারকারই আসল লꦫক্ষ্য কিন্তু, আইপিএলে ভালো খেলে দলকে ফাইনালে তোলা, সেই সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাকা করা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুই দলের অধিনায়ক কিন্তু ডিস্টিংশন মাꦓর্কস নিয়েই পাস করলেন, তবে দলকে ২০ রানে জেতাতে প্রধান ভূমিকা নিয়ে, রাহুলের চেয়ে এদিনের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেন সঞ্জু।
এদিন রাহুল নিজেকে প্রমাণ করতে প্রথমে উইকেটকিপিং করেন। যে ভূমিকায় তিনি নজর কাড়েন। এর পরে ব্যাট হাতেও হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। উল্টোদিকে সঞ্জুর ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সামনে রাজস্থান বড় লক্ষ্য রাখতে সক্ষম হয়। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যে কাজটা করেছেন সঞ্জু, রাহুল কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ꦓহাফসেঞ্চুরি করলেও, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। তাই এদিনের আসল নায়ক সঞ্জু স্যামসনই।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আরআর। দলের ১৩ রানের মাথায় তারা প্রথম উইকেট হারায়। ৯ বলে ১১ করে ফেরেন জস বাটলার। এদিন যশস্বী জয়সওয়ালও সে ভাবে নজর কাড়তেই পারেননি। বরং হতাশই করলেন। শুরুটা খারাপ না করলেও, ১২ বলে ২৪ রꦍান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করে রাজস্থানের পায়ের তলার জমি শক্তি করেন দলের অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে রিয়ান পরাগও একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন𝓰। যার নিট ফল, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে রাজস্থান।
তৃতীয় উইকেটে সঞ্জু এবং রিয়ান মিলে রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান যোগ করতে থাকেন। ২৯ বলে ৪৩ করে অবশ্য আউট হয়ে যান রিয়ান পরাগ। তাঁর ইনিংসে ছি𝐆ল একটি চার, তিনটি ছক্কা। রিয়ান আউট হলে🥃ও, সঞ্জু ৫২ বলে ৮২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সঞ্জুর ইনিংস আবার সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ছ'টি ছক্কায়। এছাড়া ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান করেছেন ধ্রুব জুরেল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের সামনে জয়ের জন্য তারা ১৯৪ রানের লক্ষ্য রাখে। প্রসঙ্গত, এলএসজি-র হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন নবীন-উল-হক।
আরও পড়ুন: দলকে জিতিয়ে হিরো হলেন, ꦅতাও কেন♓ কঠোর শাস্তির মুখে পড়লেন হর্ষিত?
রান তাড়া করতে নেমে লখনউও শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। দলের মাত্র ৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি'কক। ৫ বলে ৪ করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। এর পর দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল হাল ধরলেও, তাঁকে সঙ্গত করার মতো টপ অর্ডারের কেউই উইকেটে টিকতে পারেননি। তিনে নেমে দেবদূত পাডিক্কাল ৩ বল খেলে শূন্যতে সাজঘরে ফেরেন। ১ রান (৫ বলে) করে আউট হন আয়ুশ বাদোনি। ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যায় লখনউয়ের। পাঁচে নেমে দীপক হুডা রাহুলকে কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১৩ বলে ২৬ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। তবে ছয়ে নেমে নিকোলাস পুরান এসে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। পঞ্চম উইকেটে তা💫ঁরা ৮৫ রান যোগ করেন। কিন্তু ৪৪ বলে ৫৮ করে আউট হয়ে যান রাহুল। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার, দু'টি ছক্কা। তবে নিকোলাস পুরান লড়াই জারি রাখেন। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। পুরান ৪১ বলে ৬৪ করে অপরাজিত থাকলেও, দলকে জেতাতে পারেননি। রাজস্থানের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।