শুধু টি-২০ ক্রিকেটেই নয়, সুনীল নারিন অল-রাউন্ডার হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও কতটা কার্যকরী, বুঝিয়ে দিলেন সুপার ফিফটি কাপে। নারিনের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়🦹গায় নেই। তবে ব্যাট হাতে তিনি কতটা ধ্বংসাত্মক মেজাজে ধরা দিতে পারেন, বোঝা গেল আরও একবার।
সচরাচর সারা বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ খেলে বেড়ান নারিন। তাই ঘরোয়া লিস্ট-এ ক্রিকেটে তেমন একটা মাঠে নামার সুযোগ হয় না 🌃তাঁর। তবে বিশ্বকাপের আবহে টি-২০ লিগে মাঠে নামা থেকে অবসর মিলতে নারিন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর হয়ে সুপার ফিফটি কাপে মাঠে নেমে পড়েন।
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে জ্বলে ওঠেন নাইট তারকা। প্রথমে ৯.২ ওভার বল করে ৪টি মেডেন-সহ ৩০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন তিনি। পরে ব্যাট হাতে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নারিন। ১৬ ব♕লের মারকাটারি ইনিংসে সুনীল ১টি চার ও ৪টি বিশাল ছক্কা মারেন।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লিওয়ার্ড আইল্যান্ড। তারা ৩৭.২ ওভারে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওপেনার কায়রন পাওয়েল ৪৮ বলে ৭৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। অপর ওপ♎েনার জাস্টিন গ্রেভস ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ বলে ৫৮ রান করেন।
বাকিরা ✃আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। হেডেন ওয়ালস ১৫ ও জামার হ্যামিল🐽্টন ১৮ রানের যোগদান রাখেন। রাকিম কর্নওয়াল ৭ ও আলজারি জোসেফ ৩ রান করেন। নারিনের ৩ উইকেট ছাড়া ত্রিনিদাদ-টোবাগোর হয়ে ৪৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন ইয়ানিক কারিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিনিদাদ-টোবাগো ৪৫.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯৯ রান তুলে নেয়। ২৬ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ইয়ানিক কারিয়া ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ বলে ৪৫ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৯ বলে ৪১ রান করেন জেসন মহম্মদ। ড্যারেন ব্র্যাভো ৬ রান করে আউট হন। আকিল হোসেন ক⛎রেন ৮ রান। আলজারি জোসেফ ও হেডেন ওয়ালস ৩টি করে উইকেট দখল করেন।
নারিন টুর্নামেন্টের ৩ ম্য🤪াচে বল করে সাকুল্যে ৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৪৫ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।