Virat Kohli touches coach Rajkumar Sharma's feet: দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ) শুক্রবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে চলতি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বিরাট কোহলিকে বিশেষ সংবর্ধনা দিয়েছে। এ দিন কোহলিকে ভারতের হয়ে ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার মাইলফলক অর্জনের জন্য সম্মানিত করা হয়। তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ২০২২ সালের মার্চ মাসে মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ৩৬ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারকে ডিডিসিএ সভাপতি রোহন জেটলির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ স্মারক ও শাল প্রদান করা হয়।
এক আবেগঘন মুহূর্তে, বিরাট কোহলি তার শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মার আশীর্বাদ নিতে তার পায়ে হাত দেন। এরপর রাজকুমার শর্মাকে আলিঙ্গন করেন বিরাট কোহলি। আর গর্বিত কোচ মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার শিষ্যকে ১০০ টেস্ট ম্যাচ পূর্ণ করার জন্য সংবর্ধিত হতে দেখেন। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশভাইরাল হতে থাকে-
কোহলি হলেন দিল্লির মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি ভারতের হয়ে ১০০ বা তার বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তার আগে এই তালিকায় ছিলেন পেসার ইশান্ত শর্মা (১০৫) এবং ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (১০৪)।
বর্তমানে, বিরাট কোহলি প্রায় ১৩ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন। তিনি সর্বশেষ ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের এই শীর্ষস্থানীয় ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে ১৩ বছর পর তার প্রথম রঞ্জি ট্রফি ইনিংস মাত্র ১৫ বলেই থেমে যায়। প্রায় ৫,০০০ দর্শক কোহলির ব্যাটিং দেখার জন্য মাঠে হাজির হয়েছিল, এবং তার ১৫ বলে ৬ রানের ইনিংস যতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল, ততক্ষণ সকলেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তবে রেলওয়েজের পেসার হিমাংশু সাঙ্গওয়ান দিল্লির প্রথম ইনিংসের ২৮তম ওভারে কোহলির অফ-স্টাম্প উপড়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই অধিকাংশ দর্শক স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান।
আরও পড়ুন… নেইমারের বড় সিদ্ধান্ত! আল হিলালের পর্ব শেষ করে ফিরবেন শৈশবের ক্লাব স্যান্টোসে
গ্যালারিতে ‘আরসিবি, আরসিবি’ এবং ‘কোহলি, কোহলি’ স্লোগান ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যায়, কারণ তারকা ব্যাটসম্যান সাজঘরের পথে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে যান। রঞ্জি ট্রফিতে ফেরার আগে, তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় তার ব্যাটিংয়ে যে কিছু দুর্বলতা দেখা দিয়েছিল, তা সংশোধন করতে প্রাক্তন ভারতীয় কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন।
আরও পড়ুন… ICC Champions Trophy 2025: বড় ধাক্কা খেল টিম অস্ট্রেলিয়া! ছিটকে গেলেন দলের তারকা অলরাউন্ডার
বিশেষ করে, অফ-স্টাম্পের বাইরের বল সামলানো তার বড় দুর্বলতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই মাসব্যাপী অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়। যদিও কোহলি দ্রুত আউট হয়ে যান, তবে দিল্লি ভালোভাবেই লড়াই করে ৩৩৪/৭ স্কোরে দিন শেষ করে, যা রেলওয়েজের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৩ রানে এগিয়ে। অধিনায়ক আয়ুষ বাদোনি দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এবং মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন (৯৯), আর সুমিত মাথুর ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন।