দু'জনেই রাজ্যদল দিল্লির হয়🔴ে ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলেছেন। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন সতীর্থ ছিলেন বিরাট কোহলি ও ইশান্ত শর্মা। এখন আইপিএলে দুই তারকা যখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী, তখন শুধু লড়াইয়ের গনগনে আগুন দেখা যাবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ ডুয়েল দ🦩েখতে পাওয়াই স্বাভাবিক। রবিবার চিন্নাস্বামীতে ঠিক সেটাই চোখে পড়ে।
রবিবার ইশান্ত ছিলেন দিল্লির বোলিং বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ। বিরাট আরসিবির প্রধান ব্যাটার। চিন্নাস্বামীতে পিচের দুই প্রান্তে কোহলি-ইশান্তের মুখোমুখে লড়াই ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য। টস হেরে আরসিবি শুরুতে ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন বিরাট। দিল্লি নতুন বলে আ🍒ক্রমণ শুরু করে ইশান্তকে দিয়ে।
প্রথম ওভারে ইশান্তের শেষ বলে একটি ছক্কা হাঁকান কোহলি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয়বার 🍃বল করতে আসেন ইশান্ত। তাঁর প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন কোহলি। অর্থাৎ, ইশান্তের পরপর ৩টি বলে ৩টি বাউন্ডারি মারেন বিরাট। ইশান্তের সঙ্গে ব্যক্তিগত ডুয়েলে এগিয়ে থাকা কোহলি ইঙ্গিতে টিপ্পনিও ছুঁড়ে দেন ইশান্তের দিকে।
তবে ইশান্ত যে এভাবে পাল্টা দেবেন, সেটা বোধহয় অনুমান করতে পারেননি কোহলি। চতুর্থ ওভারের ইশান্তের তৃতীয় বলে কোনও রান করতে পারেননি বিরাট। কোহলিকে পরাস্ত করে ইশান্ত এবার নয়ন্ত্রিত আগ্রাসন দেখান শরীরী ভাষায়। তার পরে একটি ওয়াইড বল করেন ইশান্ত। চতুর্থ বলে ইশান্তের পাতা ফাঁদে পা দেন বিরা☂ট।
ইশান্ত অফ-স্টাম্পের বাইরে লেনথ বল রাখেন। বল একটু বাইরের দিকে বাঁক নিচ্ছিল। কোহলি শরীর থেকে দূরে সজোরে ব্যাট ♛চালান। বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলের দস্তানায়। কোহলিকে ব্যক্তিগত ২৭ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। বিরাটকে ফেরানোর পরে ইশান্তের সেলিব্রেশন𝓀 ছিল দেখার মতো। তিনি দৌড়ে চলে আসেন কোহলির সামনে। ঝুঁকে পড়ে কাঁধ দিয়ে ঠেলা দেন বিরাটকে। কোহলি আউট হয়েও মুখ গোমড়া করেননি। বরং হেসে ফেলেন ইশান্তের কাণ্ড দেখে।
কোহলির সঙ্গে ইশান্তের এমন আচরণ যে নিতান্ত বন্ধুত্বপূর্ণ, সেট🎃া বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি কারও। পরে দিল্লির ইনিংসের সময় ইশান্ত শর্🉐মা ব্যাট করতে নামলে কোহলি তাঁকে খোঁচা দিতে শুরু করেন। সমানে বিরাটের টিপ্পনি হজম করতে হয় ইশান্তকে। তবে দুই অভিজ্ঞ তারকার মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি এক মুহূর্তের জন্য।