কয়েক মাস আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ক🌟ষ্ট করে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল জিততে হয়েছে ভারতীয় দলকে। সুতরাং, আন্তর্জাতিক টি-২০ ক♋্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। তার উপর দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে খেলা। কাজটা সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকারের মতোই কঠিন ছিল।
তবে শুক্রবার জোহানেসবার্গে টিম ইন্ডিয়া যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দেয়, তাতে বোঝা মুশকিল কারা কাদের ডেরায় খেলতে নেমেছেไ। ম্যাচে আগাগোড়া একতরফা দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
২০০৭ সালে এই জোহানেস𝔉বার্গের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ২০২৪ সালে টিম ইন্ডিয়া যখন দ্বিতীয়বার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে, ফাইনালে ভারতীয় দলের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সুতরাং, শুক্রবার ভারত জোড়া সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নামে। সেই আত্মবিশ্বাসটাই ধরা পড়ে ভারতীয় দলের পারফর্ম্যান্সে। সঙ্গত কারণেই টিম ইন্ডিয়ার পারফর্ম্যান্সে যারপরনাই খুশি ক্যাপ্টেন সূর্যকুম𝔍ার যাদব।
সেই তৃপ্তিটা তিনি লুকিয়েও রাখেননি। ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে খুশি উপচে পড়ে ভারত অধিনায়কের গলায়। তিনি স্পষ্ট জানান যে, এই সিরিজ জয়টা নিতান্ত ব🏅িশেষ। তাই এই জয়ের স্মৃতি সারাজীবন সঙ্গে থাকবে তাঁর।
ভারতীয় দল অতীত থেকে কীভাবে শিক্ষা নেয়, সেটা ধরা পড়ে সূর্যর কথায়। তিনি জানান যে, গতবছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হ꧋য়েছিল তাঁদের। সেটা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সেরা পারফর্ম্যান্স উপহার দেওয়া গিয়েছে। এককথায় ভয়ডরহীন নির্মম ক্রিকেটের মন্ত্রেই সাফল্য পায় ভারতীয় দল।
সূর্যকুমারের কথায়, ‘পরিবে✤শ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মধ্যে কোনও রহস্য লুকিয়ে নেই। আমাদের পরিকল্পনা ছিল স্পষ্ট। গতবার আমরা যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দিয়েছিলাম, এবারও সেটা বজায় রাখাই উদ্দেশ্য ছিল। হতে পারে আমরা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলাম। তবে তাই বলে নিজেদের আগ্রাসী ক্রিকেটের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে চাইনি। বরং ফলাফ൲লের কথা না ভেবে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করাই লক্ষ্য ছিল আমাদের।’
সূর্য আরও বলেন, ‘গতবার জোহানেসবার্গে খেলার সময়ে 𓃲বুঝেছিলাম যে, ফ্লাডলাইট জ্বললে এবং তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে পিচ কাজ দেখাতে শুরু করে। সেই অনুযায়ী এবার আমরাও নিজেদের গেম প্ল্যান ঠিক করি।’
ভারতের তিন ব্যাꦦটার সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা ও তিলক বর্মা যে রকম তাণ্ডব চালান, তাতে কাউকে আলাদা করে কৃতিত্ব দ൩েওয়া সত্যিই কঠিন ছিল ক্যাপ্টেনের পক্ষে। তাঁর কথায়, ‘ওদের ইনিংসের মধ্যে কোনওটিকে আলাদা করে সেরা বেছে নেওয়া মুশকিল। ওরা চমকপ্রদ ব্যাটিং স্কিল মেলে ধরল। আমরা ঠিক এরকমটাই আলোচনা করেছিলাম। ওরা সেটা যথাযথ করে দেখায়।’