উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কেএল রাহুল, যিনি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্রুত🃏তম সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফিরেছেন, নিঃসন্দেহে রবিবার তিনি বড় স্বস্তি পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগে তাঁর রানে ফেরাটা অত্যন্ত দরকার ছিল। রাহুল বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ৬২ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন। সেই সঙ্গে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার রেকর্ড (আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি) ভেঙে দিয়েছেন।
ভারত তাদের শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ৪১০ রান করেছিল। আর রাহুল ৬৪ বলে ১০২ রান করে শেষ মুহূর্তে আউট হয়ে যান। ইনিংসের বিরতিতে তিনি বলেছিলেন ‘শেষ দু'টি খেলার মাঝখানে খুব বেশি সময় পাইনি, তাই আজ (রবিবার, ꦡ১২ নভেম্বর) কিছু সময় পেয়ে ভালো লাগলো। ৫ নম্বরে ব্যাটিং করে সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এটা একটা ভালো নক। শেষের দিকে ছক্কা মারার আত্মবিশ্বাস পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
এটি রাহুলের জন্য একটি সময়োপযোগী নক ছিল, নক-আউট পর্বের ঠিক আগে আট ইন𝄹িংসে তাঁর প্রথম পঞ্চাশ প্লাস স্কোর ছিল এটি। রাহুল চারটি ছক্কা এবং ১১টি চার হাঁকিয়েছিলেন। আর ভারত শেষ ১০ ওভারে বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২২ রান সংগ্রহ করেছিল।
রাহুল দাবি করেছেন, ‘এটি কোনও রকেট সায়েন্স নয়, শেষ ১০ ওভারে বিধ্বংসী খেলতে হয়েছিল। যতটা সম্ভব রান করার চেষ্টা করেছি, এটাই ছিল পরিকল্পনা। বল নরম হয়ে গিয়েছিল, তাই ছক্কা মারা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এটি শুধু এই ম্যাচ বলেই নয়, প্রত্যেকেরই একটি পরিষ্কার গেম পജরিকল্পনা আছে, আমরা আমাদের ♕পরিকল্পনা বেশ ভালো ভাবে সম্পাদন করছি।’
রাহুল স্টাম্পের পিছনেও ভালো পারফরম্যান্স করছেন। এবং ডিআরএস রায়ের ক্ষেত্রেও তিনি পার্থক্য তৈরি করেছেন। ডিআরএসের ক্ষেত্রে রাহুলের সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচেই যেমন স্টাম্পের পিছনে রাহুলের তীক্ষ্ণ সিদ্ধান্তের জেরেই𒆙 শূন্যতেই দুষ্মন্ত চামিরার মতো মূল্যবান ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছিলেন।
চামিরার স্পর্শে খুব ক্ষীণ ছিল। কারণ 🐭কোনও ফিল্ডার আবেদন করেনি । কিন্তু রাহুল ক্যাচ নেওয়ার পরে নিশ্চিত হয়েছিলেন এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ডিআরএস নিতে রাজি করিয়েছিলেন।