বিশ্বকাপ খেলতে আসা কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল ভারতের কোনও রাজ্যদলের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে ৩ রানে ৭ উইকেট হারাচ্ছে, এটা বিশ্বাস করাই মুশকিল ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে। বাস্তবে ঠিক সেটাই ঘটে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ৩ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে। অর্থাৎ, প্রথম ৭ জন ব্যাটসম্যানই শূন্য 🙈রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবোয়ের মতো দলগুলিকে টপকে মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নেয় নেদারল্যান্ডস। তারা আগেভাগে ভারতে এসে পৌঁছয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারার উদ্দেশ্যে। সেই মতো সোমবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে মাঠে নামে নেদারল্যান্ডস।ꩲ যদিও চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাশুল দিয়ে ম্যাচ হারতে হয় ডাচদের। এমন খারাপভাবে ম্যাচ হারে নেদারল্যান্ডস, তাতে বিশ্বকাপের আগে তাদের মনোবল দুমড়ে-মুচড়ে যেতে পারে।
শুরুতে ব্যাট ক🍌রতে নেমে কর্ণাটক ৪৬ ওভারে ২৬৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রবিকুমার সামর্থ দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৮১ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন দেবদূত পাডিক্কালও। তিনি ৫৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল🤪 ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরে। বিক্রমজিৎ সিং ২৮ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। ক্লেইন ২৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পকেটে পোরেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৫ ওভারে মাত্র ৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। ৭ জন ব্যাটসম্যানই শূন্য রানে আউট হন। ১৪ ওভারে নেদারল্যান্ডসের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৩৬ রান। সেখান থেকে নেদারল্যান্ডসকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান রায়ান ক্লেইন ও পল ভ্যান ღমিকেরেন। দশম উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ডাচদের ১০০ রানের গণ্ডি পার করান দু'জনে।
ক্লেইন শেষমেশ ৪৯ রান করেন। ৪৫ রানের যোগদান রাখেন মিকেরেন। নেদারল্যান্ডস মাত্র ২৫ ও꧒ভারে ১২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারে তারা। কর্ণাটকের হয়ে কাভেরাপ্পা মাত্র ৮ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন কৌশিক।
যদিও কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং ইউনিট। বুধবার দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৪৭.৫ ওভারে ২৯৬ রান তোলে। অ্যাকারম্ღযান ৭৭ রান করেন। ম্য়াক্স ও'দাউদ করেন ৪৮ রান। ৪৬ রান করেন রায়ান ক্লেইন।