কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে ভোট গণনা। তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছ🐎ে বিভিন্ন কেন্দ্রে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার গণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স চুরি করে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল। পূর্ব বর্ধমান এবং মালদায় গণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৎপরতার সঙ্গে ব্যালট বক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
লাইভ আপডেট পড়ুন: গণনাকেন্দ্রে ISF প্🍸রার্থীকে মার, নিষ্ক্রিয় প্রশাসন
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের জামালপুরে ভোট গননা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বক্স চুরির চেষ্টা করেন এক মহিলা। পঞ্চায়েতের ভোট বাক্স গণনা চলার সময় হঠাৎই ওই মহিলা দু বান্ডিল ব্যালট চ🌠ুরি করে দৌড়ে পালায়। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ ওই মহিলাকে ধরে ফেলে। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে দু বান্ডিল ব্যালট পেপার উদ্ধার করে। পরে জামালপুর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম রুকসানা মল্লিক। তিনি জামালপুরের পাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি তৃণমূলের এজেন্ট বলে জানা গিয়েছে। যদিও মহিলার দাবি, তিনি কোনও ব্যালট বাক্স চুরি করেন নি।
অন্যদিকে, মালদা জেলার একটি গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ পিছু ধাওয়া করে ওই তৃণমূল নেতাকে ধরে ফেলে তাঁর কাছ থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার করে। ঘটনায় ওই তৃণমূল নেতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও ব্যালট পেপার নিয়ে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন ঝামেলা চলছিল। সেই সময় পুলিশ এবং কেন্দ্র বাহিনীর লোকজন তাঁকে মারধর করেছে। তিনি কোনও ব্যালট বাক্স চুরি করেন নি বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ এবং কেন্দ্র বাহিনীর বচসা বাঁধে। মুহূর⛎্তে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
💦উল্লেখ্য, শনিবার বাংলার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। প্রবল হিংসা, বোমা, গুলি, বাঁশ, লাঠির লড়াই বাদ থাকেনি কিছুই। এরপর সোমবার ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে ফের ভোট হয়েছে। তবে এদিনের ভোটেও বিক্ষিপ্তভাবে হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ।আজ সকাল থেকেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় রাজ্যের ৩৩৯টি কেন্দ্রে পঞ্চায়েতের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সব গণনাকেন্দ্রেই রয়েছে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। গণনাকেন্দ্রের ভেতরে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বাইরে ১৪৪ ধারা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন কেন্দ্রে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।