ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। বহু কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট গণনা চলাকালীন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর অভিযোগ উঠল। বাঁকুড়ার শালতোড়🦂ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির গাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক বিজেপি কর্মীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও অভিযꦆোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে।
লাইভ আপডেট দেখুন: পঞ্চায়েতে ২০০০০ ছুঁই ছুঁই TMC, জারি রয়েছে হিংসা
বিজেপির অভিযোগ, এদিন শালতোড়ার নেতাজি সেন্টিনারি কলেজে ভোট গণনা চলছিল। সেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিজেপি শিবিরে বসেছিলেন চন্দনꦅা বাউড়ি। তখন তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পাশাপাশি🦹 বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। ওই বিজেপি শিবিরের কাছেই ছিল বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। ঢিলের আঘাতে বিজেপি বিধায়কের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দুপক্ষকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিধায়কের। তিনি বলেন, ‘শুধু ঢিল ছোড়ায় নয়, আমাদের বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। আমি শিবির থেকে বাইরে বে🌞রিয়ে আসার পর পুলিশ সক্রিয় হয়। তার আগে পর্যন্ত পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের বিজেপি কর্মীদের অনেক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় হলে একটাও গাড়ি ভাঙচুর করা হতো না।’
বিজেপির এই অভিযোগ মা🍎নতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা সকলেরই জানা রয়েছে। বিধায়কের সামনে বিজেপি কর্মীরাই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারাই বিধায়ক এবং অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে। এখন তৃণমূলের উপরে দোষ চাপাচ্ছে বিজেপি। এই ঘটনা যে ঘটবে তা প্রত্যাশিত ছিল। এখানে তৃণমূল জড়িত নয়। বিজেপির কাজ হল তৃণমূলকে দোষী করা। সেটা সকলেরই জানা আছে।’