কোচবিহার জেলা পরিষদে জয়লাভ করতে পারল না বিজেপি। এই জেলা পরিষদে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সকলের পরিচিত মুখ পিঙ্কি বর্মণ। তিনিই ছিলেন বাংলার জেলা পরিষদগুলির মধ্যে একমাত্র বৃহন্নলা প্রার্থী। পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ৮ হাজার 🌌ভোটে হেরেছেন পিঙ্কি। বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন পিঙ্কি। তবে এই হারের পরেই পিঙ্কির দাবি, তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেননি। তাছাড়া, প্রচুর ছাপ্পা ভোট হয়েছে। সেই কারণেই তিনি হ﷽েরে গিয়েছেন। যদিও ভোটে হেরে গেলেও বিজেপিতে থেকেই রাজনীতিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে চান পিঙ্কি।
আরও পড়ুন: কোচꦦবিহার- আলিপুরদুয়ারেꦯ মন খারাপ বিজেপির, নিশীথের জেলাতে ঘাসফুলের জয়, কে কত পেল?
কোচবিহার জেলা পরিষদের ৯ নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পিঙ্কি। তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিল পদ্ম শিবির। পিঙ্কি নিজেও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আবার গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপির ফল ভালো হয়েছিল। ফলে বিজেপি সেখানে জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল। তবে ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় কোচবিহারে জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে মাতꩵ্র দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি পদ্মশিবির। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৮৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ৮১টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গ্রাম পঞ্চায়েতেও ২,৫০৭টি আসনের মধ্যে ১,৮৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে শাসক দল।
যদিও পিঙ্কি রাজনীতি ছাড়তে নারাজ। তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান। পিঙ্কি 🍸বলেন, ‘আমি লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। আমি ভোটে দাঁড়াব না। তবে দলের হয়ে কাজ𒀰 করব। আমি দল ছাড়ব না।’
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে অনেক লড়াই করতে হয়েছে পিঙ্কিকে। তিনি কোচবিহারের মাথাভাঙার অশোকবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। কৃষক পরিবারের সন্তান পিঙ্কি জন্মের পরেই তাঁর মাকে হারান। এরপর দিদিদের কাছেই তিনি মানুষ হন। পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর শারীরিক গঠন বাকিদের থেকে আলাদা। লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য লেখাপড়ার সুযোগ থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছিলেন। পিঙ্কি বলেন, ‘আমার পরিচয় জানার পর সমাজ আমায় ভালো চোখে দেখেনি। অনেক লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয🔴়েছে।’ মানুষের এই দৃষ্টিভঙ্গির বদল চান পিঙ্কি। তিনি মনে করেন, বড় কিছু করতে গেলে রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন। সেই কারণেই তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেছেন বলে জানান।