পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে কি শুধু✃ ভাইয়ে ভাইয়ে ঠাঁই ঠাঁই। অন্য ছবিও আছে। ফলপ্রকাশের দিন সেই ছবিও দেখল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের রসুলপুর। দাদা ভাইকে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদছেন। দাদা জিতেছেন ভাই যে হেরে গিয়েছে। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দাদা।
(পঞ্চায়েত নির্বাচনের লাইভ আপডেট পড়ুন। WB Panchayat Election Result 2023🦋 Live: ‘জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন এটা নয়’, পঞ্চায়েত নিয়ে শাহের সঙ্গে কথা শুভ൲েন্দুর)
রসুলপুরে দানা খোকন খানকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তার পাল্টা হিসাবে ভাই শাহরুখ 💦খানকে প্রার্থী করে সিপিএম। ভোট ময়দানে জোর লড়াই। রীতিমতো টক্কর দিಞয়ে প্রচার। কিন্তু ফলপ্রকাশে দেখা গেল দাদা জিতে গিয়েছেন। হেরেছেন ভাই। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দাদা। ভাইকে জড়িয়েই গণনা কেন্দ্রে কাঁদতে শুরু করেন তিনি।
জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খোকন খান বলেন,'এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। বাংলায় ধারা👍বাহিক ভাবে উন্নয়নের জয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই এই জয় এসেছে। আমরা এলাকায় কাজ করেছিলাম। মানুষ ꦦসেই হিসাবেই ভোট দিয়েছেন। আমি চেষ্টা আগামী লোকসভা ভোটে ব্যবধান যেন আরও বাড়ে।'
(পড়তে পারেন। ‘পাড়ার আরও উন্নয়ন করো’! জয়ী🌜 তৃণমূল প্রার্থী মামীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মিমি)
এই দুই ভাইয়ের ভোট লড়াইকে যিনি কাছ থেকে দেখেছেন সেই স্থানীয় বাসিন্দা অনিল রায় বলেন,'এরকম ঘটনা বড় একটা দেখা যায় না। দুই পৃথক দলের হয়ে লড়াই করলেও এর কোন প্রভাব🏅 ওদের ব্যক্তিগত জীবনে পড়েনি। ভোটে একজন জিতবে একজন হারবে, এটাই স্বাভাবিক। যিনি জিতেছেন তিনি যদি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে তবে এলাকাবাসী খুশি।'
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে এমন প্রচুর উদাহরণ আছে, একই পরিবার থেকে ভিন্ন দলের হয়ে ভ💖োটে দাঁড়ানো। কিন্তু এভাবে হেরে যাওয়া প্রার্থীর জন্য কেঁদে ফেলা কিছুটা নজিরবিহীন বটে।