রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে নির্বাচন কমিশনে। ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষকদের চিঠিও দিতে শুরু করেছে সরকার। তবে এই নিয়ে নতুন অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ আগে বহু প্রধান শিক্ষক এবং প্রবীণ শিক্ষক প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। 🐼কিন্তু, এবার তাঁদের অনেককেই পোলিং অফিসার হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পদোন্নতি হওয়ার জায়গায় পদাবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেক শিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, সম্প্রতি ডিএ আন্দোলন এবং বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে হওয়ার জন্য বদলা নিতেই পদাবনতি করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ প্রশাসনের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, জেলা প্রশাসন এই তালিকা তৈ𝐆রি করেছে। এক শিক্ষকের দাবি, প্রতিবার ভোটে তাঁকে প্রিজাইডিং অফౠিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার থার্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক শহীদ মিনারে ধারাবাহিকভাবে ডিএ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষকের বক্তব্য, আরও অনেক প্রধান শিক্ষক এবং প্রবীন শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের পরিবর্তে 💜পোলিং অফিসার করা হয়েছে। অথচ সদ্য যারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন অনেককেই প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। এমনকী কম্পিউটার শিক্ষকদেরও প্রিজাইটিং অফিসার করা হয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে꧅ বদলা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এথেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ডিএ আনꦺ্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই সরকার তাদের নিচু পদে ডিউটি দিয়ে হেনস্থা করতে চাইছে। যে সমস্ত শিক্ষকরা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।’ একইভাবে বিজেপির শিক্ষা সেলের রাজ্য সহ আহবায়ক পিন্টু পাড়ুই পরিকল্পিতভাবে বহু শিক্ষককে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবার প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করি। এবার আমাকে সেকেন্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, যারা শাসক দলের শিক্ষা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেই প্রেজারিং অফিসার করা হচ্ছে। এর পিছনে ভোট কারচুপি করার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ভোট চুরি করত জন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সং♌গঠনের নেতা দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এমন অনেকেই এবার 🎶প্রিজাইডিং অফিসার হয়েছেন যারা তৃণমূলপন্থী শিক্ষক নন। সুতরাং এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’