আজ দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে কটি আসন পেতে পারে? জবাবে বিজেপি নেতা বলেন, 'কটা পাব জানি না। তবে জেলা পরিষদে পাব।' এদিকে পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যেখানে আদের শক্তি বেশি, সেই একায় ভালো ভোট করিয়েছি। তৃণমূল অনেক চেষ্টা করেছিল গোলমাল করার। এই যে ওরা বলছে ওদের লোক মারা গিয়েছে, ওদের লোক কেউ মারা যায়নি। গুন্ডা এবং সমাজবিরোধীরা মরেছে। টাকা নিয়ে যারা ভোট করায়, তারা মারা গিয়য়েছে। মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটা একতরফা হবে না।'এদিকে গণনার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই নিয়ে যদিও খুব একটা আস্বস্ত নন দিলীপ। বিজেপি সাংসদ বলেন, 'শুনেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সে তো আদালত বলেছিল, ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। একটা করে পুলিশ ও সিভিক পুলিশ ছিল। সেই পুলিশ প্রানে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালিয়েছে। মানুষকে কী বাঁচাবে? তাই এরকম লুঠ হয়েছে। কাল পুনর্নির্বাচনেও লুঠ হয়েছে। ৬৯ হাজার বাহিনী। বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বাহিনী বলেছে, আমরা খবর পাইনি বলে যেতে পারিনি।'এদিকে দিলীপ ঘোষ আজ আরও বলেন, 'দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে জায়গায় হিংসা হয়েছে, সেখানে সারা বছরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। এখন দুষ্কৃতীদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনাতেও লুঠ হবে। জেতার পরেও বিজেপিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। বিডিওকে হুমকি দেওয়া হবে। ফল বদলের চেষ্টা হবে। আসলে প্রশাসনের উপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যা খুশি করছে। মানুষ বুঝতে পারছে, তৃণমূল কে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছে।'এদিকে হিংসা নিয়ে তৃণমূলের ‘বেসুরো’ নেতাদের নিয়েও আজ মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘যারা আজ লজ্জা পাচ্ছে, তারাই একসময় সিপিএম-এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল। আগে তাঁরা স্বীকার করুন যে তাঁরা ভুল করেছেন। আর সৌগত রায় কখন কী বলেন বুঝি না। তাঁর এলাকাতেও সন্ত্রাস হয়েছে।’ এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস যে মণিপুরে দল পাঠাতে চলেছে তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এখানে গণতন্ত্র বেঁচে আছে কিনা, তা দেখতে গোটা দেশের মানুষ বাংলায় আসছে। আর তৃণমূল যাচ্ছে মণিপুরে। এসব চালাকি করে বেশিদিন চলে না। এরা দিল্লি যাবে, বিহার যাবে , উত্তরপ্রদেশ যাবে। আর এই রাজ্যে পাড়ায় পাড়ায় খুন খারাপি চলবে। রোজ মৃত্যু হবে। লোক ত্রাহি ত্রাহি করবে। রাজ্যপালকে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। তারপরেও এরা নির্লজ্জের মতো অন্য রাজ্যে যাবে।'