ভোটে লড়ার কোনও অভিজ্ঞতা নেই, রাজনৈতিক দলগুলির মতো সংগঠন নেই, শাসকদলের ধমক-চমকের অভিযোগ রয়েছে, তবু এবার পঞ্চায়েত জঙ্গলমহলে উল্লেখযোগ্য ফল করেছে কুড়মিরা। ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তত দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া ൲একাধিক আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছে কুড়মিরা। তবে বেশি সংখ্যক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন জেতায় জেলা থাকেছে সেই তৃণমূল꧒ের হাতেই।
(পড়তে পারেন। শান্তনু ঠাকুরের বুথেও জিততে পারল না BJP! ‘অভ🌊িষেককে অপমানের ফল’, বলল ꧅তৃণমূল)
প্রথমবার ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚনির্বাচনে নেমেই এই সাফল্যকে বড় বলেই মনে করছেন আদিবাসী নেতারা। তবে পাশপাশি তারা স্বীকার করে নিচ্ছেন অনভিজ্ঞতার কথাও। কুডমিদের সংগঠন ঘাঘরা ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অভিজিৎ কাটিয়ার কথায়, 'আমাদের ভোট করানোর অভিজ্ঞতা নেই। এর সঙ্গে ছিল প্রশাসনিক ও শাসকদলে চাপ। না হলে আরও ভালো ফল হতে পারত।'
তবে তৃণমূলের সাফল্যের পিছনে সামাজিক প্রকল্পের হাত রয়েছে বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন আদিবাসী সংꦅগঠনের নেতারা। কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ) ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক ধর্মেন্দ্র মাহাতোও স্বীকার করে নিয়েছেন, তৃণমূলের সামাজিক প্রকল্পের প্রচারকে টপকে যাওয়া যায়✨নি। জাতিসত্তার আন্দোলন থাকলেও জঙ্গলমহলের বেশির ভাগ মানুষ ভরসা করেছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর।
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুরꦚ্মু মনে করেন, 'জঙ্গলমহলের প্রত্যেক পরিবার সামাজিক প্রকল্পের কোনও না কোনও সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই নানা প্রতিরোধ স্বত্বেও স🍰াধারণ মানুষ তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়াতে বেশ কিছু আসনে জয় পেয়েছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। গোয়ালতড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে দু'টি আসনে জয় পেয়েছꦕেন তাঁরা। এ ছাড়া মেদিনীপুর সদর ও খড়্গপুর ১ ব্লকে কয়েকটি আসনে জিতেছেন কুড়মিদের নির্দলরা।
পুরুলিয়ায় সব মিলিয়ে ৭০টি আসন পেয়েছেন তাঁরা। বাঁকুড়াতে ৩৩ টি আসনে জিতেছেন তাঁরা। এছাড়া পুরুলিয়ার আগয়া-নড়রা পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে কুড়মিরা পেয়েছেন ৬টি, তৃণমূল ৬টি এবংꩵ ২টি আসনে বিজেপি জিতেছে।
মঙ্গল🦩বার দুপুর থেকে গণনা কেন্দ্রে বাইরে সবুজ আবীর মেখেছেন তৃণমূল কর্মীর। পাশাপাশি কুড়মি শিবিরের উড়েছে হলুদ আবির। মাস কয়েক আগে লাগাতার ধর্না আন্দোলনের জেরে বেহাল হয়েছিল জঙ্গলমহলের জনজীবন। ভোট মেটার পর আবার কি সেই আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটা শুরু করবে কুড়মি জনজাতি না কী গঠনমূলক পথে নিজেদের দাবি আদায়ের রাস্তায় হাঁটবেন? এখন সেটাই দেখার।