তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে বলেছিলেন, মানুষ যাঁকে নির্বাচিত করবেন তাঁকেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী করা হবে। এই ঘোষণার পর গোপন ব্যালটে সাধারণ মানুষ এলাকার গরিব চপ বিক্রেতাকে চিহ্নিত করেন। কারণ একদিকে তাঁর অমায়িক ব্যবহা🐲র আর অন্যদিকে গরিব মানুষ হয়ে পরোপকার করে থাকেন। আর তাঁকেই এবার মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছেন। এলাকার ছেলে প্রার্থী হওয়ায় খুশি গ্রামের বাসিন্দারা।
কেমন জীবনযাপন এই প্রার্থীর? স্থানীয় সূত্রে খবর, তেলেভাজার দোকান তিনি বন্ধ রাখতে পারেন না। কারণ তাহলে সংসার চলবে না। এই চপ বিক্রেতা রাজু মনে করেন, সবাইকে ভাল রাখতে গেলে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসা খুব প্রয়োজন। তাহলেই মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকা যাবে। তাই মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজু সরকার। এই রাজুর সঙ্গে এলাকার মানুষের সুসম্পর্ক রয়েছে। জনসংযোগ বলতে চপ বিক্রি করার সময় মানুষ𒀰ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ফেরি করেন। গ্রামের সবাই ভালবাসেন রাজুকে তাঁর সাধারণ জীবনযাত্রার জন্য।
কোথায় মিলবে চপ বিক্রেতা প্রার্থীকে? মুরারই রেলগেটের পাশেই বেশ কয়েকবছর ধরে তেলেভাজা ও মুড়ির দোকান চালান এই রাজু সরকার। প্রার্থী হওয়ার আগে সকাল ও বিকেল দোকান খুলতেন রাজু। প্রার্থী হয়ে এখন একবেলা চপ, মুড়ি বিক্রি করেন। কারণ আর একবেলায় তো মানুষের দুয়ারে যেতে হয় তা🎃ঁকে। ভোট চাইতে। তবে তাঁর নির্বাচনী খরচ জোগাচ্ছেন এলাকার মানুষ। কারণ তাঁরা চান রাজুর মতোই ছেলেই এখানে প্রার্থী হয়ে জিতে আসুক। তাহলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি পাড়ার ছেলেকে যে কোনও সমস্যায় পাওয়া যাবে। আর তেলেভাজার দোকান তো রইলই। সেখানে 🌳অবশ্য এখন থেকেই মানুষজন ভিড় করছেন। আর দেখা করে বলছেন, নানা সমস্যার কথা। মন দিয়ে শুনছেন রাজুও।
আরও পড়ুন: ‘ꦛসকলের আশীর্বাদে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি’, বা♏ংলার মানুষকে টুইট করে জানালেন মমতা
ঠিক কী বলছেন রাজু? প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর দম ফেলার সময় নেই। সংসার চালাতে চপের দোকান খুলতে হচ্ছে। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে হচ্ছে। তবে রাজু সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘চপের দোকানে ꧅গরিব মেহনতি মানুষের যাতায়াত আছে। তাই কথাও হয়। আর এলাকার সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার পর পরিচিতি লাভ করেছি। এলাকায় আমাকে রাজু নামে সবাই চেনে। আগে যখন প্রার্থী ছিলাম না তখনও মানুষের বিপদে–আপদে পাশে থেকেছি। এবার জিতেও সবার পাশে থাকব।’ রাজু এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।