রাজ্যে মোট ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনꦍ হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছু জেলা থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠায় পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষে🥂ত্রে এটা দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন। যার মধ্যে কোচবিহারের ৫৩টি বুথ রয়েছে। এখানেও হচ্ছে পুনর্নির্বাচন। এবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে এই সন্ত্রাসহীন নির্বাচন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
আজ, সোমবার গ্রামবাংলার নানা প্রান্তে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে। এই আবহে সন্ত্রাস নিয়ে নানা তথ্য সামনে আনলেন দিনহাটার বিধায়ক। উদয়ন গুহ বলেন, ‘যা হয়েছে সেটা মোটেই কাঙ্খিত ছিল না। কিন্তু সবটা আমাদের হাতে ছিল না। কেউ কেউ চাইছেন সন্ত্রাস হোক। যাতে রাজ্যকে বাইরে ছোট করা যায়। ভারত–পাকিস্তানের যুদ্ধ হলে, কাকে খারাপ বলবꦐেন? ভারতকে না পাকিস্তানকে? তে𝔉মনই আমরা ভাল, বাকিরা খারাপ বলা হচ্ছে। এখন সবারই টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ বুথ দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে এলে আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করবেনই।’
আর কী বলেছেন মন্ত্রী? পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ হবে বলেই বারবার বিভিন্ন সভা–সমাবেশ থেকে বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে। সেখানে এই সন্ত্রাস ঘটেছে। যার জন্যই আজ পুনর্নির্বাচন। উদয়ন গুহের কথায়, ‘মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন চেয়েছিলেন। অভিষেক নানাভাবে প্রচুর চেষ্টা করেছিল। জেলায় জেলায় ঘুরে সেই বার্তাই দিয়েছিল। কিন্তু তার🍌পরও সবটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। কারণ একাধিক শত্রুর আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। তাতে প্রতিরোধ করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কল🌞কাতার বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ, দামে 🍒পতন হওয়ায় খুশি আমজনতা
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বলবেন? কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ নিয়ে খুশি নন উত্তরবঙ্গ উ🌄ন্নয়নমন্ত্রী। তাই তাঁর অভিযোগ, ‘যেভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, তার জন্যই সবটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এসব না ঘটলেই ভাল হতো। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের কিছু জায়গায় লাঠিপেটা করেছে। সন্ধ্যায় জুলুমবাজি করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চায়েতে নির্বাচন ঘিরে এত সংঘর্ষ কেন? সবাইকে সেটা ভাবতে হবে। এটা শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের দায় নয়।’