২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার সাক্ষী থেকেছিল রাজ্য। গতকাল বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও সেই হিংসার কথা শোনা যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, ২১-এ ৪৫ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল হিংসায়। এরই মাঝে আবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট করে অভিযোগ করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে প্রায় ১৩০ জন বাংলা ছেড়ে তাঁর রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের পরও এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি এবার হিংসায় অভিযুক্ত। আর ঘটনাস্থল শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম। (পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বহাচনে এমনিতেই 'প্রতিরোধের' নামে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে দিকে দিকে। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েতের বলি হয়েছেন ৪২। তার সিংহভাগই ঘসফুল শিবিরের। অনে🀅ক ক্ষেত্রেই বিরোধীꦿদের দিকেই উঠেছে আঙুল। এরই মাঝে অভিযোগ উঠল, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনিতে এবারে নন্দীগ্রামে বিজেপি ভালো ফল করেছ। তবে এরই মাঝে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়াতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়। ঘটনায় আহতদের নন্দীগ্রামের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গুরুতর জখম কয়েকজনকে তমলুকে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে বিজেপি অবশ্য এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে ১৭টি মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। অন্য দিকে তৃণমূলের দখলে ৮টি। এর আগে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সব কটিই দখল করেছিল তৃণমূল। তবে এবার শুভেন্দু নামক 'টনিকে' নন্দীগ্রামে এগিয়ে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে এই নন্দীগ্রাম থেকেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে হারান শুভেন্দু। জানা গিয়ে🅷ছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে ৫টি ไপঞ্চায়েতে জয়ী বিজেপি, বাকি ৫টিতে জয়ী তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৪টিতে জয়ী বিজেপি, বাকি ৩টিতে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর নিজের ভোটকেন্দ্র নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবাড়ে। সেখানেও ৭৭ নম্বর বুথে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী রুম্পা দাস। এদিকে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ৪৪ টি ও বিজেপির দখলে ১৮ টি।