রাজ্যে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ইতি♏মধ্যেই মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সেসব জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল টুইট করলেন নাগপুর আরএসএসের একজন মহিলা কর্মী। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই সেই অশ্লীল টুইটকে সামনে নিয়ে এসে হাওড়া সিটি পুলিশের অন্তর্গত হাওড়া সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন একজন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী।
ইতিমধ্যেই ওই টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল টুইট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আরএসএস বাংলায় এঁটে উঠতে পারছেন না বলেই এমন টুইট বলে মনে করছেন অনেকে। ওই নাগপুরের আরএসএস কর্মী সুনয়নꦅা হোলের বিরুদ্ধে আজ, শুক্রবার হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরএসএসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতার আরএসএস দফতরে চর্চা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দেবলীনা ঘোষ দাস শুক্রবার দুপুরে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার 🔯ক্রাইম ⛄থানায় আসেন। এখানে এস🍌েই নাগপুরের আরএসএস কর্মী সুনয়না হোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ༺সম্পর্কে যে কুরুচিকর ভাষায় উনি ট্যুইট করেছেন তা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমরা চাই আমাদের রাজ্যের পুলিশ অবিলম্বে এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। আর অভিযুক্তকে নাগপুর থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে আদালতে পেশ করুক। এখানে বিচার হওয়ার দরকার আছে। এমন অশ্লীল টুইট করে যেন পার পেয়ে না যায়।’
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে মহ🌳ারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুনয়না হোলেকে বাংলায় নিয়ে আসা হোক বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। তাঁর কথায়, ‘এখানে তার বিচার হোক। সুনয়না হোলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। শুধু এবারই নয় আগেও তিন–চারবার ওন🐬ার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আগেও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পরিবার সম্পর্কে উনি কুরুচিকর মন্তব্য করে জেল খেটেছেন। আমরা এই ঘটনায় সুনয়না হোলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এখানেও জেলে যাওয়ার শাস্তি দিতে হবে।’