পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে প্রায় সর্বত্রই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের জয়জয়কার। ফুরফুরা শরিফেও ভালো ফল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ২৯টি, যার মধ্যে ২৮ আসনে জয়লাভ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, শাসক দল ওই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তাই উন্নয়ন দেখেই তৃণমূলের পক্ষে রা🅷য় দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের মানুষজন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় হচ্ছে BJP, তবে ‘বামেরা ফꦬিরছে’ তত্ত্বে উড়ল লাল আবির- একনজরে পঞ্চায়েত ভোট
ভোট গণনার দিন সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল ফুরফুরা শরিফে। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা এই অভিযোগকে সামনে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন। পালটা তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের অভ꧅িযোগ ছিল, আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা বোম𝐆া বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে ফুরফুরা শরিফের মতো পবিত্র স্থানকে দূষিত করার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তাদের বক্তব্য, এতদিন ফুরফুরা শরিফের মতো পবিত্র স্থানে কেউ কোনওদিন বোমাবাজি করেনি। ফুরফুরা শরিফে তৃণমূলের জয়ের পরে আইএসএফকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘চোরদের নিয়ে কোনও দল চলতে পারে না। দল চালাতে গেলে এলাকার উন্নয়ন ✨করতে হয়। আইএসএফ এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদত দিয়ে কোনওদিন জিততে পারবে না।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ফুরফুরা শরিফের মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে। ভোটের ফল প্রকাশে দেখা গেল তৃণমূলের পক্ষেই রায় দিয়েছেন আমজনতা। তিনি বলেন, ‘মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’
অন্যদিকে, এই জয়ের জন্য জঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্ন𒉰েহাশিস চক্রবর্তী ফুরফুরা শরিফের মানুষকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ফুরফুরা শরিফে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএ🐽ফ। তবে শেষপর্যন্ত ঘাসফুল ফুটল ফুরফুরা শরিফে।
তৃণমূলের দাবি, আইএসএফ মানুষকে সম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, মানুষ সেই উস্কানি নেয়নি। উন্নয়নে𒀰র পক্ষেই ভোট দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের মানুষ। তৃণমূলের আরও দাবি, তারা ক্ষমতায় আসার পরেই এখানে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল, জল, আলো সর্বত্রই উন্নয়ন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই মানুষ তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে। এই ফলে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে আব্বাস সিদ্দিকি ও নওশাদ সিদ্দিকির দ𝐆ল আইএসএফ।