আজ, সোমবার ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাজ্যে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে ৬৯৬টি বুথে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাতে প্রাণ হারায় অন্তত ১৮ জনের। এই আবহে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। এখন বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে হারাতে মমত꧟া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে কংগ্রেস। এই আবহে দিগ্বিজয় সিং একটি টুইট করেছেন। এই টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আজ, সোমবার বেশ কয়েকটি জেলায় পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির জেরেই তা হচ্ছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন জাতীয় কংগ্রেসের কোনও নেতা🔯। বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এখন সন্ত্রাস নিয়ে চিৎকার জুড়েছেন। নানা বিষয়ে মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। আর এবার মধ্যপ্রদেশের প্রাকꦚ্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ প্রবীন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ও টুইট করলেন। তবে তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ সেটা উল্লেখ করতে তিনি ভোলেননি।
ঠিক কী লিখেছেন কংগ্রেস নেতা? এই পুনর্নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদের বুথে ভোট 🧸হচ্ছে। কারণ এখানেই সন্ত্রাস বেশি হয়েছে। আর এখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীই বেশি মারা গিয়েছে। কংগ্রেস কর্মীও নিহত হয়েছেন। তবে তুলনায় নগণ্য। এই আবহে দিগ্বিজয় সিং টুইটে লেখেন, ‘বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটছে তা ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো। আমি বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং প্রত্যয়ের গুনগ্রাহী। কিন্তু সেখানে যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য।’ এই কথাগুলি লিখে তিনি দু’দিক বজায় রাখত🌟ে চাইলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থীর দুয়ারে হুমকি পোস্টার, পুনর্নির্বাচনের ꦯদিনে আলোড়ন
আর কে, কী বলছেন? রাজ্যে মোট ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছু জেলা থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠায় পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এই ঘটনাগুলি নিয়ে টুইট বার্তায় দিগ্বিজয় লেখেন, ‘আমরা জানি আপনি সাহসিকতার সঙ্গে সিপিএম শাসনে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু এখন যা ঘটছে তা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়।’ দিগ্বিজয়ের এই ম𓆏ন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘মুর্শিদাবাদে তো কংগ্রেসই মারছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলই খুন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। দিগ্বিজয়ের উচিত তাঁর দলের কর্মীদের গণতন্ত্রের পাঠ পড়ানো।’