পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা দাবি করে আসছে বল্গাহীন সন্ত্রাস ঘটেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই নির্বাচনের বলি হয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে ৯ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তৃণমূল সন্ত্রাস করলে তাঁ🌞দের এত কর্মী মারা যাবে কেন? সুতরাং বিরোধীদের অভিযোগ বিশেষ ধোপে টিকছে না। যদিও বিজেপি টুইট করেছে, বুথ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট করিয়ে নিয়েছে। তবে এসব অভিযোগের কোনও প্রমাণ তাঁরা দিতে পারেননি। বরং পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।
এদিকে হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাবেন বিরোধী দল💎নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার প্রাক্কালে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি করেন দমদমের সাংসদ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আজ, রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসে। মালদার ভগবানপুর এলাকার তৃণমূল কর্মীর নাম মতিউর রহমান। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
অন্যদিকে বাসন্তীর আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আজ কলকাতার হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। সুতরাং এখন সংখ্যাটা ১১ জনে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই সৌগত রায়ের গলায় আক্ষেপের সুর শোনা গেল। তাঁর কথায়, ‘মৃত্যুর এই ঘটনা আটকানো যেত। নিজে൩দের কর্মীদেরই আমরা বাঁচাতে পারিনি। কারণ এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকাই ছিল না। উল্টে তারা এসে পুলিশের ভূমিকাকে নগণ্য করে দিয়েছে।’ সুতরাং বিরোধীদের অভিযোগ একদিকে তিনি খারিজ করে দিলেন। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তা দিতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে বলে বোঝাতে চাইলেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ।
আরও পড়ুন: ব্ꦺযালট বাক্স নি🌞য়ে চম্পট দিল সিপিএম–বিজেপি, মেমারিতে তাড়া করল তৃণমূল
আর কী বলেছেন সৌগত? আগের থেকে অনেকটা সন্ত্রাস কমিয়ে আনা গিয়েছে বলে দ❀াবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে, উৎসবের মেজাজে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। বিরোধীরা সন্ত্রাস করেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের এত কর্মী মারা গিয়েছে। আর তৃণমূলের প্রশংꦬসা করে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা নির্বাচনে খুবই সংযত ছিল। আমরা হিংসা এড়াবার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। তাই এত প্রাণ চলে যাওয়ার পরও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যে ধৈর্য্য দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’