গ্রামবাংলা কার? এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। এই আবহে গণনার দিন উঠে এল এক নতুন দাবি। তাও আবার অসম থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এবং ত🌱ার প্রাক্কালে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা লেগেই ছিল কোচবিহারে। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কোচবিহার জেলায় যেভাবে বুথের মধ্যে খুন হয়েছেন স্থানীয় এক যুবক তাতে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই নাকি ভয়ে বহু মানুষ অসমে পৌঁছে গিয়েছে। এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অথচ আজ, মঙ্গলবার সকালে নানা গণনাকেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রাজ্যের ২২টি জেলার গ্রামীণ মানুষজনের মতামত ব্যালট বাক্সে বন্দি। সেগুলি রয়েছে ৭৬৭টি স্ট্রংরুমে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ৩৩৯টি ভোট গণনাকেন্দ্রে সেই ব্যালট বাক্স খোলা শুরু হয়েছে।
এদিꦜকে কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী এবং সাধারণ মানুষ অসমের ধুবড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার প্রাক্কালে ভয়ে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। বাংলার ভোট গণনা কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক কেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ৩৩৯টি কেন্দ্রে গণনার প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা করা হচ্ছে।
ঠিক কী দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর? এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হ🐲িমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি আবার একটি টুইটও করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘১৩৩ জন মানুষ ভয়ে অসমের ধুবরি জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আমরা তাঁদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দিয়েছে এবং খাবার ও ওষুধ দিয়েছি।’ অন্যদিকে তবে গণনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে ভোট গণনাকেন্দ্রে। এমনকী গণনাকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। এক কোম্পানি আধাসেনা জওয়ানদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাহারায় মোতায়েন রয়েছে🎃 কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুন: সামশেরগঞ্জের বিধায়ককে ধাক্কা দিল কেন্দ্রীয় বাহি🅷নী, ভোটগণনার দিꦅন তপ্ত জেলা
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে অসমের অন্তরꩲ্গত ধুবরির পুলিশ সুপার জানান, ঝাপুসাবারির রণপাগলি এমভি স্কুলে ১৩৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যদিও এই টুইটের পর কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, এই ঘটনা পুরোটা সাজানো। বাংলাকে বদনাম করার জন্য করা হয়েছে। বাংলায় নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে♉ছে পুলিশ। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে একজন করে অফিসার আছেন।