দার্জিলিং আসন নিয়ে একদিকে যেমন টেনশনে রয়েছে বিজেপি তেমনিই স্নায়ুর চাপ কিছু কম নেই তৃণমূলেরও। কারণ একটাই, সেটা হল ভূমিপুত্র। বিজেপির অনেকেই যেমন চাইছেন, যেন পাহাড়ের কোনও ভূমিপুত্রকে এবার প্রার্থী করা হয়। সেই মতোই তৃণমূলের অন্দরেও তেমন দাবি উঠতে শুরু করেছে। আর সেই নিরিখে এবার অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলতে শুরু করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, আগামী রবিবার ব্রিগেডের মিটিংয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পাহাড়ের আসনটাকে নিয়ে একটা মিটিং হতে পারে। সেখানে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনীত থাপা থাকবেন বলে খবর। আসলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে বর্তমানে অনীত থাপার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আর অনীতও বরাবরই তৃণমূলের গুডবুকে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে অনীত তৃণমূলের কাছে বড় ভরসা। কারণ তৃণমূলের পক্ষে পাহাড়ে একলা লড়াই করা কার্যত অসম্ভব। তবে পাহাড়ের অন্য়ান্য শরিক দলের নেতাদেরও জনগর্জন সভায় আমন্ত্রণ করা হতে পারে। তারপরই শুরু হবে রণকৌশল তৈরির বৈঠক। এবার প্রশ্ন সামগ্রিকভাবে দার্জিলিং আসনে কতটা চাপে রয়েছে তৃণমূল? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দার্জিলিং আসনের মধ্যে সমতলেরও একটা বড় অংশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র পাহাড়ের ভাবাবেগকে ঘিরে ভোট হবে তেমনটা নয়। তবে পাহাড় একটা বড় ফ্যাক্টর। তবে একটা সময় বহু চর্চিত একটা বিষয় ছিল মোর্চা যার দিকে পাহাড়ে হাসবেন তারাই। কিন্তু বর্তমানে বিমল গুরুংয়ের মোর্চার শক্তি আর আগের মতো নেই। হামরো পার্টিও ফানুসের মতো উঠেই ফের নেমে পড়েছে মাটিতে। এখন অনীত থাপার প্রভাব পাহাড়ে। সেই সঙ্গেই বিজেপির প্রতিও পাহাড়ের মানুষের অনেকের একটা টান রয়েছে। কারণ কেন্দ্রের নানা সুযোগ সুবিধা মিলবে তেমন একটা ভাবনা কাজ করে। সেই সঙ্গেই একটা সময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি শিলিগুড়িতে বিজেপির প্রভাব কম কিছু নয়। সেক্ষেত্রে দার্জিলিং আসন এবারও চাপের তৃণমূলের কাছে। তবে এবার যদি বিজেপি ঠিকঠাক প্রার্থী দিতে না পারে তাহলে অবশ্য় বিপাকে পড়তে হতে পারে গেরুয়া শিবিরকে। লড়়াই আরও কঠিন হয়ে যাবে। সেকারণে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলতে চাইছে দুপক্ষই। বিজেপি ও তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে একাধিক নাম চর্চায় আসছে। তবে সবার আগে ভূমিপুত্র। সেই ফ্যাক্টরে কে কতটা এগিয়ে থাকতে পারে সেটাও দেখার। বহিরাগত প্রার্থী করলে তার প্রভাব যে বিশেষ সুখকর হবে না তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি।