ভোট চলাকালীন প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল ত্রিপুরার পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুথে। বিজেপি নেতার চড় মারার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। স🎐েই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বিজেপি নেতার নাম কাজল দাস। তিনি উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিজেপি সভাপতি। এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে।
আরও পড়ুন: আগেই এক্সপ্রায়ার করে গিয়েছে, প্রিসাইডিং অফিসারদের▨ বাজে খাবার দেওয়ার অভিযোগ
গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফা💙র ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশের ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৯টি আসনে। অভিযোগ, দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন একটি ঘটনাকে নিয়ে বচসার জেরে প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মেরেছিলেন বিজেপি নেতা। চড় মারার ভিডিয়ো সোশ্যাল🙈 মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই সরব হয়েছিল বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছিল বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের ২২ নম্বর ভোটকেন্দ্রে।
বিজেপি নেতার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বাকি অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ওই অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। তবে ইতিমধ্যে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন কাজল। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কেন আরও কড়া ধারায় অভি𝓀যোগ দায়꧋ের করা হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষে ব💦ৈধ ভোটার কার্ড ছাড়াই কিছু লোক ভোট দিতে যায়। কিন্তু, প্রিসাইডিং অফিসার তাদের বাধা দেন। জানান, বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও ভোটার ভোট দিতে পারবেন না। প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেননি। এরপর, প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য শোনার আগেই কাজল দাসের নেতৃত্বে আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কাজল দাস ভোটারদের সামনে অফিসারকে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ধর্মনগরের সহকারি রিটার্নিং অফিসার কাজল দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কদমতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন🎶্ত দেবনাথ জানান, অভিযোগ দায়ের করার পরেই সেক্টর অফিসার, মাইক্রো পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ভাইরাল ভিডিয়োর তদন্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভোটের ডিউটিতে অনেক শিক্ষকের 🔜পদাবনতি,﷽ সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতে অভিযোগ
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধেไ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৫৩, ৩৩২ এবং ১৩১ ধারার পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, আইন তার নিজের পথে চলবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। তাতে কাজল দাসকে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে কাজল আদৌ ওই অঞ্চলের ভোটার নন। বেআইনি ভাবে সেখানে ঢুকেছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী সিপিএম। অন্যদিকে দ্রুত দায় ঝাড়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। মুখপাত্র বলেছেন তিনি কিছু জানেন না, কিছু ঘটনা হয়ে থাকলে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।