বিজেপির প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতের বিতর্কির মন্তব্যের জেরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কঙ্গনাকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেসের সুপ্রিয়া। এই আবহে হাত শিবিরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি। হিমাচলে এই ইস্যুটিকে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে কংগ্রেসের হয়ে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' বামলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। কঙ্গনাকে 'হিমাচলের কন্যা' আখ্যা দিলেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করলেন মান্ডিতে কঙ্গনার বাবাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিল কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: ওয়াশিং মেশিনে 'ধ🍒োয়া হচ্ছিল' ২.৫ কোটি টাকা! কলকাতা সহ বহু জ💝ায়গায় হানা দিয়ে ধরল ED)
আরও পড়ুন: ডিএ-র শনির ফাঁড়া কাটবে? ভোটের আবহে বকেয়া ঢুকবে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন🐬্টে
গতকাল সুখু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাঁকে কঙ্গনা বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই আবহে বিতর্কে জল ঢালতে সুখু বলেন, 'কঙ্গনা হিমাচলের কন্যা। তাঁর মা-বাবা এখানে থাকেন। তাঁর বাবাকে মন্ডিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।' উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে কঙ্গনাকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এদিকে কঙ্গনা বিজেপির টিকিট পাওয়ার পরে তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। সেখানে কঙ্গনাকে একটি খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে দেখা যায়। সেই পোস্টে হিমাচলের 'মান্ডি'-কে 'বাজার' আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। রীতিমতো কঙ্গনাকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল সেখানে। কঙ্গনাকে নিয়ে সেই কুরুচিকর পোস্ট নিয়ে বহু বিতর্ক হয়। (আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বিধি ও নাগরিꦺকত্ব আইনে 'সংঘাত' লাগলে কোনটি প্রাধান্য পাব🧸ে? যা বলল আদালত)
আরও পড়ুন: দেশে নয়া কারখানা চালু বি🐭খ্যাত ফরাসি সংস্থার, লജক্ষ্য ভারতে ৩২০০ কোটির 'হাব' তৈরি
পরে অবশ্য সুপ্রিয়া দাবি করেন, তিনি সেই পোস্𒈔ট করেননি। বরং তাঁর ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের 'অ্যাক্সেস' থাকা অন্য কেই সেই পোস্টটি করে। পরে কঙ্গনাকে সেই বিতর্কিত পোস্ট প্রসঙ্গে সুপ্রিয়া বলেন, 'আমি জানার সাথে সাথে পোস্টটি মুছে দিয়েছি। যারা আমাকে চেনেন, তারাও ভালো করেই জানেন যে আমি কখনোই কোনও নারীর প্রতি ব্যক্তিগত ও অশালীন মন্তব্য করতে পারি না। আমি জানতে চাইছি এটা কীভাবে হল।' এদিকে এই বিতর্কিত পোস্ট প্রসঙ্গে চণ্ডীগড়ে কঙ্গনা নিজে সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রতিটি মহিলাই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। সে যে পেশায়ই থাকুক না কেন। আমি সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছি 'মান্ডি' কথার সেই ভাব সম্প্রসারণে।🍰 এই এলাকা ছোট কাশী নামে পরিচিত এবং এটি বহু ঋষির দেশ।' এদিকে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বহু বিজেপি নেতা। কঙ্গনা রানাউতের সমর্থনে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন তাঁরা। হিমাচলপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জয় রাম ঠাকুর বলেছেন যে অভিনেতার বিরুদ্ধে এহেন অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।