তিনি অধর্ম, দুর্নীতি ও অসত্যের শক্তির কথা বলেছেন। আর সেই শক্ত✃ির ‘দাস’ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর কথার অর্থ পালটে দিয়ে মোদী ধর্মীয় যোগ টেনে এনেছেন। ‘শক্তি’ বিতর্কের মধ্যে এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, ‘আমার কথা পছন্দ হয় না মোদীজির। কোনও না কোনওভাবে উনি সবসময় আমার কথার মানে পালটে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ উনি জানেন যে আমি একেবারে সত্যি কথা বলেছি।’ সেইসঙ্গে রাহুল দাবি করেন, তিনি যে শক্তির কথা বলছেন, সেই শক্তির বিষয়ে খুব ভালোভাবেই জানেন মোদী। রাহুলের কথায়, 'ওই শক্তিকে আমি চিনি। ওই শক্তিকে নরেন্দ্র মোদীজি চেনেন। ওই শক্তি কোনওরকম ধর্মীয় শক্তি নয়। বরং ওটা অধর্ম, দুর্নীতি ও অসত্যের শক্তি। তাই আমি যখনই ওই শক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়াই, তখনই মোদীজি ও তাঁর মিথ্যার মেশিন চটে যান।'
ওই শক্তির বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, 'আমি যে শক্তির কথা বলেছিলাম, সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি, আর যে শক্তির মুখোশ হলেন মোদীজি। ওটা এমন একটা শক্তি, যা আজ ভারতের কণ্ঠস্বর; সিবিআই, আয়কর দফতর, ইডি, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়া, ভারতের উদ্যোগপতি মহল, ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোকে দমিয়ে রেখেছে। ওই শক্তির জন্যই ব্যাঙ্ক থেকে🌠 নেওয়া হাজার-হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেন নরেন্দ্র মোদীজি, যখন কয়েক হাজার টাকার ঋণ চোকাতে না পেরে ভারতীয় কৃষকরা আত্মহত্যা করেন।'
কংগ্রেস সাংসদ আরও দাবি করেন, ওই শক্তির হাতেই ভারতের বন্দর, ভারতের বিমানবন্দর তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে অগ্নিবীর ‘উপহার🌺’ দেয় মোদী সরকার। যে প্রকল্পের কারণে ভারতের যুব সম্প্রদায়ের সাহস গুঁড়িয়ে দেয়। রাহুলের কথায়, 'ওই শক্তির ক্রীতদাস হলেন নরেন্দ্র মোদীজি। যিনি দেশের গরিব মানুষের উপর জিএসটি চাপিয়ে দেন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করে ওই শক্তির হাত আরও মজবুত করার জন্য দেশের সম্পত্তি নিলাম করে দেন।'
শক্তি বিতর্ক
এখন ‘শক্তি’ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটার সূত্রপাত হয় রবিবার। সেদিন মুম্বইয়ের সভা থেকে রাহুল বলেছিলেন, ‘সবাই ভাবেন যে আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। দেশও সেটাই ভেবে থাকে। দেশ মনে করে যে এই যে নেতারা মঞ্চে বসে আছেন, বিভিন্ন যে র🔴াজনৈতিক দল আছে, তারা একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটা সত্যি নয়। এটা ভুল। আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়াই করছি না। এটা বোঝার দরকার আছে। ভারতে যুবক-যুবতীদের এই বিষয়টা বুঝতে হবে।’
রাহুল আরও বলেছিলেন, ‘কেউ-কেউ বলেন যে এঁরা সকলে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। না। আমর📖া এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও লড়াই করছি না। আমরা শুধু বিজেপির💎 বিরুদ্ধেও লড়াই করছি না। একজন ব্যক্তিকে সামনে শুধু দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। হিন্দুধর্মে শক্তি বলে একটা শব্দ আছে। আমরা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। একটি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
কংগ্রেস নেতা দাবি করেছিলেন যে 'ইভিএম, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং আয়কর দফতর' ছাড়া লোকসꦇভা নির্বাচনে জিততে পারবেন না মোদী। তাঁর কথায়, 'রাজার আত্মা ইভিএমে আছে। ভারতের প্রতিটি কেন্দ্রীয় এজেন্সিতে আছে।'
আর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোমবার রাহুলকে আক্রমণ শানান মোদী। তিনি বলেন, ‘ইন্ডি জোট (বিরোধীদের জোট) নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে যে তাদের লড়াই হচ্ছে শক্তির বিরুদ্ধে। আমার কাছে প্রত্যেক মা হলেন শক্তির রূপ, প্রতিটি মেয়ে হলেন শক্তির রূপ। মা-বোনেরা আমি আপনাদের শক্তি রূপে পুজো করি। আমি ভারতমাতার পূজারি। আপনারা শক্তিস্বরূপা। আমি সব মা, বোন এবং মে🍃য়েদেরও পূজারি। আর যাঁরা গতকাল শিবাজি পার্ক থেকে শক্তিকে ধ্বংস করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তাঁদের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ কর🔯ছি আমি। আর আমি এই শক্তিস্বরূপা মা-বোনেদের রক্ষার জন্য জীবনের পরোয়া করব না। জীবন উৎসর্গ করে দেব।’
আরও পড়ুন: ‘আমার উপর চেঁচাবেন না’, নিয়ম ভাঙায় একধার থেকে CJI-র বকুনি খেলে💯ন♛ সিনিয়র আইনজীবীরা