লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৩ মে। সুতরাং হাতে আর সময় বলতে তিনদিন। তাই প্রচারে ঝড় তুলছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা। তবে এই আবহে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেই ঝড়বৃষ্টিতে সভা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে স্বস্তিতে জনগণ। কারণ প্রবল দাবদাহ সহ্য করতে হচ্ছে না। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সশরীরে সভায় উপস্থিত হতে না পেরে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে ভার্চুয়𒊎াল সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বীরভূমের প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের নাম উল্লেখ করে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ শা🍨নালেন তিনি। বিজেপিকে ১০ গোল দিয়ে ভোকাট্টা করার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক।
এদিকে সিপিএমের অতীত অত্যাচারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উপস্থিত জনগণকে। বীরভূমের আটবার জিতে সাংসদ হন সিপিএমের রামচন্দ্র ডোম। এবার তাঁর নাম উল্লেখ করে অতীতের ভয়ঙ্কর দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘রামচন্দ্র ডোমেদের সেই কালো দিনক🎃ে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছেন শতাব্দী রায়। চতুর্থবার তাঁর পাশে না থাকার অর্থ সিপিএমের হার্মাদকে সরিয়ে বিজেপির উন্মাদকে জেলায় আনা। তাতে বরবাদ হবে জীবন। সর্বহারা হবে বীরভূম।’ এরপরই বীরভূমের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘জায়গা ঠিক করুন। দুটো মাইক নিয়ে একদিকে আমি, অপরদিকে বিজেপির কেউ। বীরভূমের উন্নয়নের তথ্য আমি দেব। বিজেপি দিক। কথা দিচ্ছি ১০ গোল দিয়ে ভোকাট্টা করে দেব।’
আরও পড়ুন: আসানসোলে বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি, বিরোধীরা বলছে মিথ্যে ꦯকথা
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে নেমেছে। আর সেটা যদি করতে পারে তাহলে লোকসান বিজেপির। কারণ বামের ভোটই রামে স্থানান্তরিত হয়েছিল। সেটা বিলক্ষণ জানেন অভিষেক। তাই সিপিএম–বিজেপি থেকে সমদূরত্ব𓆉 বজায় রাখতে বলছেন তিনি। বারবার তাই বিজেপিকে কাজের নিরিখে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। যদিও তাতে সাড়া মেলেনি। এদিন বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাঙালি বিদ্বেষী। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দিয়ে নিজের নাম জুড়েছিলেন। আগের তিন দফায় বিজেপির ঘাড় মাথা মেরুদণ্ড ভেঙেছে। বীরভূমে কোমর ভাঙবে। তারপরের দু’দফায় হাত–পা ভাঙবে। সপ্তম দফায় ডায়মন্ডহারবারে বিজেপিকে বিসর্জন দেব। এটাই জনগণের গর্জন।’