আজ, লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ–পর্ব চলছে জোরকদমে। টানটান উত্তেজনায় ভোট পড়ছে ইভিএমে। প্রার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। ছুটে বেড়াচ্ছেন বুথের পর বুথে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নার💃াজ। এমন আবহে সৌজন্যের নজিরও দেখা গেল। তাও এমন একটা লোকসভা কেন্দ্রে যা এককথায় নজরকাড়া। আর যেখানের বিজেপি প্রার্থী বেলাগাম মন্তব্য করে থাকেন। তিনি এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে দেখে হাসলেন। একে অন্যকে বাহুডোরে জড়িয়ে ধরলেন। বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এমন ছবিই ধরা পড়েছে। যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদকে সৌজন্যের মেজাজে দেখা গেল।
এখানে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণার হওয়ার পর থেকেই বর্ধমান– দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদকে দিনরাত কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেন দিলীপ ঘোষ। কীর্তি আজাদও তখন দিলীপ ঘোষকে ছেড়ে কথা বলতেন না। একে অপরকে নিয়ে সেখানে আজকে যে ছবি ফ্রেমবন্দি হল তাতেই সৌজন্য চরমে পৌঁছল। দু’জনেই তখন মন্তেস্বরে ছিলেন। ঠিক তখনই রাস্তায় দুই কনভয়ের মুখোমুখি হয়। দু’জন একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির উর্ধ্বে যে মানুষ সেই ছবিটাই আবার ধরা পড়ল ক্যামেরায়। একে অপরের সঙ্গে দেখা হতেই গাড়ি থেকে নেমে হাসিমুখে করমর্দন করেন। তারপর আলিঙ্গনও। তবে এই সৌজন্যের রেশ ছিল ক্ষণস্থায়ী। কারণ একে অন্যের বিরুꦚদ্ধে তোপ দাগেন দুই প্রার্থীই।
আরও পড়ুন: লো–ভোল্টেজ ঠেকাতে রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার নয়া উদ্যো🧔গ, খুশি বাসিন্𒐪দারা
এদিকে দিলীপ ঘোষকেꦓ মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান–দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বেশ বদনাম রয়েছে। কারণ আগের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া কোনও কাজ করেননি বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে সরিয়ে এখন দিলীপ ঘোষকে আনা হয়েছে। আর এই আসন নিজেদের কাছে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করেছে। দিলীপ–কীর্তি একে অপরকে আক্রমণ করলেও আজ দেখা মিলল সৌজন্যের। তবে সেই ক্ষণস্থায়ী পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের একে অন্যকে আক্রমণ করেছেন। তবে শুরু করেন দিলীপ ঘোষই। দিলীপ ঘোষ কীর্তিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘হতে পারে উনি বড় ক্রিকেটার। কিন্তু আমার সঙ্গে কখনও খেলেননি। খেলা এবার শেষ হবে।’ পাল্টা দিলীপকে নিশানা করে কীর্তি বলেন, ‘বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থܫান। সেখানে দাঁড়িয়ে এক প্রার্থী লাগাতার কটু মন্তব্য করে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না।’
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হয়ে এখানে আসার পর বারবার প্রচারে দাবি করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগতকে প্রার্থী 🐠করেছে। কীর্তি বাংলা জানেন না বলে খোঁচা দেন দিলীপ। পাল্টা জবাব দিতে পিছুপা হননি কীর্তি আজাদও। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘দিলীপ ঘোষ পাগল হয়ে গিয়েছেন। ওঁর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।’ এবার আলিঙ্গন–পর্বের পরও তা বহাল থাকল। আগামী ৪ জুন খেলা কে জিতবে সেটা ওইদিন বোঝা যাবে।