লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশে চলছে। আর এই নির্বাচনী মরশুমে যুযুধান প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দলই বাদ নেই এই সরাসরি আক্রমণ করা থেকে। তবে তার মধ্যে এবার ঢুকে পড়ছে কুৎসিত ভাষা থেকে শুরু করে অশ্লীল মন্তব্যও। এবার সেটা প্রত্যক্ষ করল তেলাঙ্গানা। নির্বাচনের মরশুমে শাস্তির মুখে পড়লেন তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে তাঁকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। ভারত রাষ🅠্ট্র সমিতির (বিআরএস) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আপত্ꦕতিকর এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন কেসিআর। গত ৬ এপ্রিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে যে অভিযোগ জানানো হয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। আর তাই ওই শাস্তির ঘোষণা করা হয়েছে। কেসিআর ‘জন্মনিরোধক’ এবং ‘সারমেয়র সন্তান’ শব্দ ব্যবহার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। গত বুধবার রাত ৮টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা কোনওরকম নির্বাচনী প্রচারে অংশ নি꧅তে পারবেন না কে চন্দ্রশেখর রাও। কংগ্রেসের নেতা জি নিরঞ্জনের অভিযোগের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো শুর🦩ু হয়েছে’, বিএস🥃এফের বিরুদ্ধে প্রসূণের অভিযোগ
নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিলেও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য নালিশ ঠোকা হয়েছিল। কারণ ওই মন্তব্যে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তারপরও সে বিষয়ে সরাসরি কোনও 𝓀পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। এমনকী বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জবাব চেয়ে নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি পাঠালেও তাতে স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও উল্লেখ করা হয়নি।