বিজেপি কর্মীর গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করল নির্বাচন কমিশনের ফ্লায়িং স্কোয়াড টিম। বুধবার রাতে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাঁচল থানার পাহাড়পুরে বাইপাস সড়কে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব চাঁচল বিধানসভায় বুথে কাজ করার খরচের টাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলেরই বিজেপি কর্মী তিলক রাম। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই✨ ঘটনায় বিজেপির কর্মী তিলক রাম–সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এপ্রিল মাসেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ উদ্ধার হয়। আবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষꦕদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের গাড়িতে তল্লাশি করতেই টাকা উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিল। আবার এপ্রিল মাসের শেষেই বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। নাকা চেকিং করার সময় এক বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে মালদা জেলায়। নির্বাচন কমিশন এখন তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু’লাখ টাকা। তাও আবার পুলিশের নাকা চেকিং করার সময় উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা। মালদার রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় নাকা চেকিংয়ে এই নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার নাম শান্তনু ঘোষ। তিনি বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।
আরও পড়ুন: 𒀰জিটিএ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্ব💎স্তি
আরও পড়ুন: এবার বিজেপি নেতার গা🎃ড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা, মুখ্য🅘মন্ত্রীর দাবিতে সিলমোহর
অন্যদিকে এই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আজ বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে প্রায় আট লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার বেশি রাতে চাঁচলের পাহাড়পুর বাইপাস এলাকা থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই টাকা পাচার করা হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনাটি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হ🃏য়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে নগদ টাকা বিলি করছেন বিজেপি নেতারা বলে সূত্রের খඣবর। তৃতীয় দফার ভোট রয়েছে এই মালদা জেলায়। এখানে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। আর এই দুটি দখল করতেই টাকা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া এই গাড়িটি এলাকা👍র ব্যবসায়ী তথা বিজেপির চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ইনচার্জ তিলক রামের বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে তিলক রামের সাফাই, ‘নির্বাচনে বুথ খরচের জন্য আমরা কিছু টাকা নিয়ে আসছিলাম। দলের জেলা পার্টি অফিস থেকেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। গাড়িতে প্রায় আট লক্ষ টাকা ছিল। টাকা নিয়ে আসার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা আমার জানা ছিল না। নির্বাচন কমিশন পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। আদালতের মাধ্যমে আমি টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করব।’ তবে তৃণমূল কংগ্রেসের চাঁচল এক নম্বর ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি এই বিষয়ে বলেন, ‘এটাই বিজেপির কালচার। ওরা বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে সেই টাকাই এখন বিলি করছে।’