লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে মিছিল–মিটিং, সভা–সমাবেশ, পদযাত্রা–রোড শো হবে সেটাই দস্তুর। কিন্তু এসবের মধ্যে স্কুল পড়ুয়ারা থাকবে কেন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে স্কুল পড়ুয়াদের হাঁটানো হয়েছে বলে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে ভাঙড় ১ ব্লকে বিশাল মিছিল হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রা𝓡র্থী প্রতিমা মণ্ডল থেকে শুরু করে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং অন্যান্যরা। ওই মিছিলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী–সহ নানা সরকারি প্রকল্পের মডেল তুলে ধরা হয়। আর তাতেই একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা সোমবার সামিল হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ মানতে চায়নি।
এই অভিযোগ সঠিক না বেঠিক তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে অভিযোগ উঠতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে ইস্যু তৈরি করছেন। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প তো তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি হতে পারে না। সাধারণ মানুষের করের টাকায় তা তৈরি। তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে না গেলে প্রকল্প থেকে নাম বাদ পড়বে। এই ভয় দেখিয়ে মিছিলে আনা হচ্ছে। তবে এই তীব্র গরমে 💧স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলে আনার তীব্র বিরোধিতা করছি।’
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল আর ব🔥িজেপি হল, একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ’, চাপে পড়ে বয়ান বদল অধীরের
নির্বাচন কমিশন নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার সময় গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট ভা༺ষায় বলা ছিল, নির্বাচনের কোনও কাজে স্কুল পড়ুয়া এবং শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না। সেখানে এমন অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাই আইএসএফের জেলা সভাপতি আবদুল মালেক বলেছেন, ‘অনুদান দিয়ে সবাইকে বোকা বানানোর রা✱জনীতি চলছে। স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলে হাঁটানো বড় অপরাধ। এখন থেকেই পড়ুয়াদের মনে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাই স্কুলের বাচ্চাদের দিয়ে মিছিল ভরাচ্ছে।’